এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: ২০১১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় থেকে শুরু করে ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের হকি দলকে ব্রোঞ্জ জিততে সাহায্য করা – প্যাডি আপটনের কৃতিত্বের তালিকায় যোগ হলো আরেক নতুন অধ্যায়। এবার তিনি মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে গড়ে তুললেন কিশোর দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার গুকেশকে, যিনি ২০২৪ সালের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিলেন।
দাবার ক্ষেত্রে নবাগত হলেও মানসিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আপটনের দক্ষতা গুকেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এই সহযোগিতা শুরু হয়েছিল ২০২৪ সালের মাঝামাঝি, যখন ওয়েস্টব্রিজ-আনন্দ চেস একাডেমি (WACA) গুকেশকে প্রস্তুত করার জন্য মানসিক প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞের সন্ধান করেছিল।
গুকেশের মানসিক দৃঢ়তা:
গুকেশকে প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, বিশেষ করে তখন যখন তার প্রতিপক্ষ ডিং লিরেন তার সেরা ফর্মে ফিরে এসেছিলেন। তবে আপটনের নির্দেশনায় গুকেশ সেই কঠিন মুহূর্তগুলোতে মানসিক স্থৈর্য বজায় রেখেছিলেন। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ছিল নির্ণায়ক ১৪তম খেলা, যেখানে ডিং-এর একটি ভুল এবং গুকেশের মনোযোগ চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
একজন সর্বজনীন কোচ:
প্যাডি আপটনের কেরিয়ার দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে মানসিক প্রশিক্ষণ বিভিন্ন খেলার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। ভারতের ক্রিকেট জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে পুরুষ হকি দলের পদক খরা ঘোচানো, প্রতিটি ক্ষেত্রে তার প্রভাব প্রমাণ করেছে যে মানসিক দৃঢ়তা সফলতার চাবিকাঠি।
গুকেশের এই জয় শুধু ভারতীয় দাবাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়নি, বরং আপটনের কৃতিত্বকেও আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আবার প্রমাণ করল যে মানসিক শক্তিই চূড়ান্ত খেলার রূপান্তরকারী।