বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুযোগ নষ্ট। নেভিকে হারিয়েও শান্তি নেই মহামেডানের!

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান নেভি দলে বলার মত ফুটবলার ছিলেন বাংলারই পিন্টু মাহাতো আর একসময় মোহনবাগানে খেলে যাওয়া পি এম ব্রিটো বাকিটা ডুরান্ড কাপের ম্যাচে শুধুই মহামেডান। শুরুতেই ঝটকা লাগবে, একই লাগছিল উভয়ের জার্সি। মহামেডানের সাদাকালো, এবার কিছুটা জুভেন্টাসের মত, উল্টো দিকে নেভি দলের নেভি ব্লু আর সাদা।
মহামেডান প্রথম ম্যাচে মুম্বাইয়ের কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে, ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে জিততে হত বড় ব্যবধানে। তিন শূন্য বা আরো বেশি, শুরুও করেছিল দল কিন্তু গোল আনতে ব্যর্থ পজিটিভ স্ট্রাইকারহীন মহামেডান।
আরও পড়ুন- এক্সক্লুজিভঃ মাঠে বসে ডার্বি দেখতে পারেন অরিজিত সিং!
ম্যাচের ২৯ মিনিটে ডেভিডের গোলে এগিয়ে গেল মহামেডান, উত্তরবঙ্গের বিকাশ সিংয়ের থ্রু থেকে গোল ডেভিডের। প্রথমার্ধে আর্জেন্টাইন অ্যালেক্সি কয়েকটি সুযোগ পেল, একটি ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যেচ্যুত।
মাঝমাঠে কাসিমভ আর ডিফেন্সের জোসেফ দুই বিদেশি আজও নজর কাড়তে ব্যর্থ! দ্বিতীয়ার্ধে নামলেন কাসিমভের বদলে তন্ময় ঘোষ।
আরও পড়ুন- “ইস্টবেঙ্গলের দল অনেক ভাল”, ডার্বির আগে লাল হলুদ ব্রিগেডের প্রশংসা জুয়ান ফেরান্দোর
মাঝমাঠ জমাট হল যথারীতি। ৭০ মিনিটে রামসঙ্গা ২-০ করলেন। মহামেডান যখন ব্যবধান বাড়ানোর জন্যে লড়ছে অতিরিক্ত সময়ে পিন্টু মাহাতোর হালকা ফাউল থেকে পেনাল্টিতে একটি গোল শোধ পি এম ব্রিটোর। যদিও রেফারি একমিনিট আগে হ্যান্ড বলের জন্যে মহামেডানকে পেনাল্টি দিতেই পারতেন।
ম্যাচের ফল ২-১। পরের ম্যাচে সামনে জামশেদপুর এফসি। গোল পার্থক্যে অনেকটাই না এগিয়ে থাকলে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ সাদাকালোর।