পাহাড়ে হোঁচট খেল ইস্টবেঙ্গল!

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ইতিহাস স্বাক্ষী আছে, বড় ম্যাচের পরের ম্যাচেই হোঁচট খেয়ে থাকে দুই প্রধান। আর সেটাই যেন ঘটল ইস্টবেঙ্গলের সাথে। ১১ ম্যাচ অপরাজেয় ইস্টবেঙ্গল হোঁচট খেয়ে গেল পাহাড়ে। গুয়াহাটিতে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে পরাজিত হল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুন - কেরলের জলাজের বোলিং দাপটে বিধ্বস্ত বাংলা, চাপে অনুষ্টুপ, মনোজরা
ম্যাচডে স্কোয়াডে দুই নতুন বিদেশি ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বসকে রেখেছিলেন কুয়াদ্রাত। আর প্রথম একাদশে তরুণ উইঙ্গার সায়ন ব্যানার্জিকে আনেন কুয়াদ্রাত। কিন্তু নিজেদের ভুলে শুরুতেই দুটো গোল খেয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ইস্টবেঙ্গল।
৪ মিনিটে সায়ন ও রাকিপের ভুল বোঝাবুঝিতে বল নিয়ে যান জিথিন এমএস, সেখান থেকে জিথিন পাস বাড়ান নেস্টর আলবিয়াচকে, আর তার সেন্টারে গোলে বল ঢোকান টমি জুরিচ। এরপর ১৫ মিনিটে আবারও ইস্টবেঙ্গলের লুজ বলের সুযোগ পেয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান রিডিম টিয়াং। এরপর তার সুন্দর সেন্টারে গোল করেন নেস্টর।
১৫ মিনিটে দুই গোল খাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল একেবারে নড়ে বসে। নন্ধকুমার-নাওরেম মহেশ-ক্লেইটনরা আক্রমণ তৈরি করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে নর্থইস্ট দ্রুত অ্যাটাকিং ট্রানজিশনে বারবার লাল-হলুদ রক্ষণকে বিপদে ফেলছিল।
তবে দুই অর্ধের বিরতিতে কোচ কুয়াদ্রাতের পেপ টকে হয়ত উজ্জীবিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা, যার সৌজন্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে ইস্টবেঙ্গল। ৫৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা পিভি বিষ্ণুর পাস পান ক্লেইটন সিলভা, সেখান থেকে ক্লেইটন থ্রু বল বাড়ান নন্ধকুমারকে, তার জোরালো শট মির্শাদ মিশুর পাশ দিয়ে ঢুকে যায় গোলে।
এরপর ইস্টবেঙ্গল খেলা ধরতে শুরু করে, তবে জিথিন-রিডিমের গতিতে বারবার ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ সমস্যায় পড়ে। তবে ৬৬ মিনিটে বাঁদিক থেকে টমি জুরিচের বাঁক খাওয়া শট সেকেন্ড পোস্ট হয়ে জালে জড়ায়। নিঃসন্দেহে এবারের আইএসএলের অন্যতম সেরা গোল।
এরপর ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে চাপ বাড়ায়। পরিবর্ত হিসেবে ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বস নেমে আক্রমণের ধার বাড়াতে সাহায্য করে। শেষে ৮২ মিনিটে ডানদিক থেকে ক্লেইটনের ভাসানো বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন নর্থইস্টের ডিফেন্ডাররা, যার সুযোগে গোল করেন ফেলিসিও।
তবে শেষ অবধি সমতার গোল আনতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। নিঃসন্দেহে ইস্টবেঙ্গল এদিন নিজেদের দোষেই পয়েন্ট পেতে ব্যর্থ হল, তবে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের দুরন্ত লড়াইকে প্রশংসা করতেই হবে।