গোকুলামের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে ডুরান্ড সেমিতে ইস্টবেঙ্গল

গোকুলাম কেরালা - ১ (আমিনোউ বৌবা)
ইস্টবেঙ্গল - ২ (জর্ডান এলসে, আমিনোউ বৌবা - আত্মঘাতী গোল)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ চার বছর পর নকআউট ম্যাচ, চাপ ছিলই ইস্টবেঙ্গলের উপর। কিন্তু কার্লেস কুয়াদ্রাতের এই ইস্টবেঙ্গল যেন সেই চাপকে আপন করে নিতে শিখেছে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও স্বল্পসংখ্যক লাল-হলুদ সমর্থকদের গর্জনে মুখরিত হচ্ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন।
খেলা শুরুর মাত্র ৪০ সেকেন্ডে গোল করে ইস্টবেঙ্গল। নাওরেমের কর্ণার থেকে বোরহা হেরেরার সেন্টার থেকে সিভেরিও হেড করে বল সাজিয়ে দেন, সেখান থেকে দুরন্ত হেডে গোল করলেন অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার জর্ডান এলসে।
প্রথমার্ধে দাপটটা ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। বোরহা হেরেরা ও নাওরেমের যুগলবন্দীতে বারবার গোলের জন্য ঝাপাচ্ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৩২ মিনিটেই ২-০ ফলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। বোরহার কর্নার থেকে বল হেডে ফ্লিক করেন সিবেরিও। সেখান থেকে শট বারে মারেন সল ক্রেস্পো।
আরও পড়ুন- মরশুমের সেরা থ্রো! বিশ্ব অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নীরজ চোপড়া
কিন্তু গোকুলাম কেরালাও হাল ছাড়ার পাত্র ছিল না। একাধিকবার প্রতি আক্রমণে ইস্টবেঙ্গলকে চাপে ফেলার প্রয়াসে ছিলেন কোমরন তুর্সোনভ, নিলি পার্দেমোরা। ৪১ মিনিটে নিশু কুমারের ভুলে বল পান শ্রীকুট্টান, সেখান থেকে তার সেন্টারে বল পেয়ে চকিতে শট মারেন আলেজান্দ্রো স্যাঞ্চেজ, কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেটি বাঁচান প্রভসুখন গিল।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে গোকুলাম। আর তার ফল মেলে ৫৬ মিনিটে অভিজিথ কের ক্রসে হেডে গোল করে গোকুলামকে সমতায় ফেরান আমিনোউ বৌবা।
এরপর সমতায় ফিরতে আক্রমণে জোর দেয় ইস্টবেঙ্গল। আন্তোনিও পার্দো ও ক্লেইটন সিলভা নামার পর আক্রমণ আরও জোরদার হয়। ৭৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নাওরেমের পাস থেকে বল পান নিশু, সেখান থেকে তার জোরালো ক্রস সল ক্রেস্পোর চুলে লেগে গোকুলামের বৌবার মাথায় লেগে গোলে ঢোকে। একেবারে হতবাক হয়ে যান গোলকিপার জোথানমাউইয়া।
শেষ অবধি জিতে যুবভারতী ছাড়ল ইস্টবেঙ্গল। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচে নজর কাড়লেন পরিবর্ত হিসেবে নামা পার্দো। তবে ক্লেইটন সিলভা এখনও নিজের পুরোনো ছন্দ ফিরে পাননি। কিন্তু দুইবার এগিয়ে যাওয়ার এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী ২৯ আগস্ট নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে সেমি ফাইনালে নামবে ইস্টবেঙ্গল।