এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ পিছিয়ে থাকা মোহনবাগান কতটা ভয়ঙ্কর তা আজ টের পেল কেরালা ব্লাস্টার্স তথা ভারতীয় ফুটবল মহল। খারাপ দিনেও তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া যায় বুঝিয়ে দিলেন মোলিনা। ৩-২ গোলে জয়ী মোহনবাগান।
ম্যাচটা উত্তেজক হতই, শুরু থেকেই সেটি পরিষ্কার ছিল। এক দিকে মোহনবাগানে দিমি-জেমি-লিস্টন, অন্যদিকে কেরালায় নোয়া-লুনা-জিমেনেজ, আক্রমণের ঝড় উঠতই খেলায়। সেই মত শুরুতে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ব্লাস্টার্স, তবে গোলকিপার বিশাল কাইথ অনবদ্য দক্ষতায় সেটি বাঁচিয়ে নেন।
তবে ধীরে ধীরে মোহনবাগান খেলাটি ধরে নেয়। রাইট ব্যাকে সন্দীপ সিংকে কার্যত মাটি খাইয়ে বারবার আক্রমণ তৈরি করছিলেন। অন্যদিকে দিমিত্রি পেত্রাতোসও বেশ কয়েকবার আক্রমণের পথ তৈরি করছিলেন।
তবে ৩৩ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেনের উপস্থিত বুদ্ধিতে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। আশিস রাইয়ের লম্বা শট কেরালার গোলরক্ষক সেভ করলে ফিরতি বল পেয়ে গোল করেন ম্যাকলারেন। এক্ষেত্রে কৃতিত্ব পাওয়া উচিত কেরালার প্রীতম কোটালের, যিনি অনসাইডে রেখেছিলেন ম্যাকলারেনকে।
প্রথমার্ধে কেরালা বেশ কয়েকবার গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও বিশাল কাইথ আলবার্তোর কাছে আটকে যায় কেরালা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফলে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে কেরালার ক্রমাগত প্রেসিং ফুটবলে ভুল করতে বাধ্য হন বিশাল-শুভাশিসরা। বিশালের পাস শুভাশিস বোসের কাছে এলে তিনি বল ক্লিয়ার করতে গেলে সেই বল পেয়ে যান কেরালার জেসাস জিমেনেজ। বক্সের বাইরে থেকেই দুরপাল্লার শটে গোল করে যান জিমেনেজ। ৫১ মিনিটে সমতায় ফেরে কেরালা ব্লাস্টার্স।
এরপর ৭৫ মিনিটে জল বিরতির পর কেরালাকে এগিয়ে দেন মিলোস ড্রিনচিচ। কেরালার ফ্রিকিক বিশাল কাইথ গ্রিপ না করতে পারলে সেই বল পেয়ে যান মিলোস। কিন্তু গোলটি নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক৷ বিশালের হাত থেকে বল ফসকে গেলে সেই বল হাতে লাগে মিলোসের।
এরপরেই প্ল্যান বি তে চলে যান মোলিনা। জেসন কামিংস নামেন টম অলড্রেড এর যায়গায়, আশিক নামেন লিস্টনের জায়গায়।
আর এই প্ল্যান 'বি' তেই ম্যাচ নিজের করে নেন মোলিনা। আশিকের ক্রস থেকে দিমিত্রির শট কামিংসের পায়ে লেগে কেরালার জালে জড়িয়ে যায়। ২-২ ফলাফল ম্যাচের ৮৬ মিনিটে। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। সেই অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটেই দুরপাল্লার জোড়ালো শটে গোল করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন বাগানের মনস্টার আলবার্তো রড্রিগেজ।