এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ জয়ের সরণীতে ফিরল মোহনবাগান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও ছন্দ ফিরে পেতে সমস্যায় পরেননি বাগান ফুটবলাররা। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতে বেঙ্গালুরু এফসির সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন আনেন মোহনবাগান হেড কোচ জোসে মোলিনা। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরেন দীপক টাংরি এবং প্রত্যাবর্তন ঘটে দীপ্পেন্দু বিশ্বাসের। এবং দুজনেই এদিন নজর কাড়লেন সকলের।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো ক্রমাগত আক্রমণে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে বাধ্য হন জামশেদপুর ফুটবলাররা। যদিও মোবাসির, জাভি হার্নান্ডেজ, সিভেরিওরা সুযোগ পেলেও প্রতিআক্রমণে উঠে গোল করার চেষ্টা করেন।
বাগানের ক্রমাগত আক্রমণের মাঝেই ১৫ মিনিটে বক্সের ভিতর জোরালো শটে গোল করে সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে এগিয়ে দেন টম অলড্রেড। কর্ণার থেকে দিমির ভাসানো বল ক্লিয়ার করলে বক্সের বাইরে থেকে ফিরতি বলে শট মারেন দীপক টাংরি, যা আলবার্তো হয়ে বল পৌঁছায় টম।
এরপর খেলা ধরে নেয় মোহনবাগান। মাঝমাঠে আপুইয়াকে ভরসা যোগান দীপক। অন্যদিকে দীপ্পেন্দুকে নামিয়ে রক্ষণ জমাট করতে সক্ষম হন মোলিনা৷ দীপেন্দু একজন সেন্টার ব্যাক পজিশনের ফুটবলার হওয়ায় ডান প্রান্তের আক্রমণ আটকাতে অসুবিধা হয়নি দীপেন্দুর। এর পাশাপাশি তার গতিকে কাজে লাগিয়েও মনবীরের সঙ্গে আক্রমণে সাহায্য করেন দীপেন্দু।
তবে এই ম্যাচের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত যদি মেরিনার্স এরিনার এশিয়ার সর্ববৃহৎ টিফো হয়ে থাকে তবে মাঠের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত অবশ্যই প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ের দুই মিনিটে লিস্টন কোলাসোর গোল। বক্সের ভিতর পাঁচ জন ফুটবলারকে কাটিয়ে দুর্দান্ত গোল করেন লিস্টন। প্রথমার্ধের শেষে মোহনবাগান দুই গোলে এগিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা মন্থর শুরু করে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। নিজেদের গোলের ব্যবধান ধরে রাখার চেষ্টা করে মোহনবাগান। যদিও ব্যবধান আরও বাড়ান ম্যাকলারেন। যদিও এই গোলের ৯০ শতাংশ কৃতিত্ব মনবীর সিংয়ের। দীপক টাংরির বাড়ানো লম্বা পাস থেকে ডান প্রান্তে গতিতে জামশেদপুর ফুটবলারদের পরাস্ত করে গোলের কাছে পৌঁছে যান মনবীর। তার মাইনাস থেকে গোল করতে ভোলেননি অজি বিশ্বকাপার।
যদিও আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতো মোহনবাগান। ৮৪ মিনিটে লিস্টনের শট পোস্টে লাগে। ৩-০ ফলাফলে শেষ হয় ম্যাচ।