বেঞ্চের শক্তি প্রমাণ করতে গিয়ে পাহাড়ে ৪ গোল হজম লাল-হলুদ ব্রিগেডের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী ১২ মার্চ এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কঠিন ম্যাচ খেলতে তুর্কমেনিস্তান রওনা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেই কারণে শনিবার শিলংয়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নামিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিনো জর্জ। কিন্তু দুর্ধর্ষ নর্থইস্টের সামনে লড়াইটা বড্ড কঠিন ছিল লাল-হলুদের, যার ফলে ৪ গোল হজম করে আইএসএল অভিযান শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের।
এই ম্যাচ ৫ বঙ্গসন্তানকে শুরু করিয়েছিলেন বিনো জর্জ। দেবজিত মজুমদার, হীরা মন্ডল, তন্ময় দাস, চাকু মান্ডি ও সুমন দের সাথে শুরু করেছিলেন মার্ক জোথানপুইয়া, ডেভিড লালানসাংগা, জেসিন টিকেরা। প্রথম দলের কেবল ক্লেইটন সিলভা, নিশু কুমার ও পিভি বিষ্ণু ছিলেন এই দলে। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে খেলা শুরু করেছিল নর্থইস্ট। তবে নেস্টর, পার্থিবদের আক্রমণ রুখে দিচ্ছিল লাল-হলুদের রক্ষণ।
দেবজিত বেশ কিছু অনবদ্য সেভ না করলে আরও বেশি লজ্জার মুখে পড়তে হত ইস্টবেঙ্গলকে। অন্যদিকে আলাদিন আজাইরের বিরুদ্ধে গোল না খাওয়া অবধি দুর্দান্ত লড়াই করেছিলেন সুমন। রক্ষণে ভরসা দিচ্ছিলেন চাকু। হীরা-তন্ময়রাও চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই লড়াই উধাও।
আরও পড়ুন -
৫৮ মিনিটে বামদিক থেকে তন্ডোম্বা সিংয়ের ক্রসে গোল করেন নেস্টর আলবিয়াচ। ক্রসটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিস করেন চাকু, যার ফলে বল পান নেস্টর। এরপর ৬৫ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করেন আলাদিন। যদিও সেই গোল হওয়ার সময় হ্যান্ডবল হয়েছিল, এমন অভিযোগ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।
৭৫ মিনিটে নর্থইস্টকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন তন্ময় দাস, যা থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আলাদিন। ২৩টি গোল করলেন এই মরোক্কান, তার সাথেই গড়লেন রেকর্ড। চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে এক আইএসএলে সকল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করার নজির গড়লেন তিনি। ৩ গোল খাওয়াটা যদি সম্মানহানির হয়, তাহলে ৮৩ মিনিটে তন্ময় সেই লজ্জা আরও বাড়ালেন। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই বাঙালি মিডফিল্ডার। তার পরেই চতুর্থ গোলটি করে লাল-হলুদের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন মহম্মদ বেমাম্মের।