জেসন কামিংসের জোড়া গোলে মাজিয়ার বিরুদ্ধে জয় মোহনবাগানের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন যুগের সূচনা করে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার জেসন কামিংস। সবুজ মেরুন ব্রিগেডে এই বিশ্বকাপারের সই করার পর দিয়েই তিনি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু ডুরান্ড কাপে তাঁর সেই ঝলক দেখার সুযোগ পায়নি ফুটবল মহল। তবে মরশুমের শুরুর কথা ভুলিয়ে স্বমহিমায় জেসন। এএফসি কাপে মাজিয়া এফসির বিরুদ্ধে ২-১ ফলাফলে জয়ী মোহনবাগান। সৌজন্যে জেসন কামিংস। দুটি গোলই তাঁর। হ্যাটট্রিকও হতে পারত। তবে পেনাল্টি কিকে তিনি চেষ্টা করেছিলেন তাঁর প্রিয় ফুটবলার মেসির মতো পাস দিয়ে সতির্থকে গোল করাতে। যদিও সেটি হয়নি৷ তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল করে মোহনবাগানীদের নয়নের মণি হয়ে উঠলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিত্রাতার নাম ক্লেইটন! হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে প্রথম জয় ইস্টবেঙ্গলের
এদিন মোহনবাগান দলের প্রথম একাদশে শুরু থেকেই ছিলেন ৬ বিদেশি। কামিংস-দিমিত্রির সাথে প্রথম একাদশে সুযোগ পান মোহনবাগানের আরেক বিদেশি ফরোয়ার্ড আর্মান্দো সাদিকু। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে মোহনবাগান। সবুজ মেরুন ব্রিগেডের মুহুর্মুহু আক্রমণে একপ্রকার চাপে পরে যায় মাজিয়া দলের ফুটবলাররা।
২৮ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটিও পেয়ে যায় মোহনবাগান। হুগোর বাড়ানো বল ধরে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কামিংসের শট জরিয়ে যায় মাজিয়ে গোলে। এরপর গোলের ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস আর্মান্দো সাদিকুরা।
ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিট মোহনবাগান দলের বল পজিশন ছিল ৬৪%। ৪০ মিনিটের মাথায় সাদিকুকে নিজেদের বক্সের ভিতর ফাউল করেন মাজিয়ার জকিক।
যদিও পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। সরাসরি পেনাল্টি শট মারার বদলে দিমিত্রিকে পাস দিতে যান কামিংস। কিন্তু তার আগেই বল ক্লিয়ার করে দেন মাজিয়ার এনকিক। গোলের ব্যবধান বাড়ানোর পরিবর্তে উলটে গোল হজম করে জুয়ান ফেরান্দোর দল। ৪৫ মিনিটে গোল শোধ করে যান মাজিয়ার ওয়াডা।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের খোঁজে আক্রমণাত্মক ফুটবল পদ্ধতি বেছে নেন জুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু লিস্টন সাদিকু-বুমোদের আক্রমণ আটকে দেন মাজিয়ার ডিফেন্ডাররা। তবে এদিন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের স্বপ্নের নায়ক সেই জেসন কামিংস। নিজের পেনাল্টির ভুল শুধরে নিয়ে ৯৩ মিনিটে মোহনবাগানকে জয়সূচক গোলটি এনে দেন কামিংস। সাহালের বাড়ানো পাস থেকে গোল করে দেন তিনি।