এবার মাঠের বাইরেও গোল করলেন জেজে লালপেখলুয়া

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: সুনীল ছেত্রীর পরবর্তী প্রজন্মের স্ট্রাইকার হিসেবে উঠে আসত তাঁর নাম। প্রতিভাও কম ছিল না। কিন্তু বারবার চোটের কবলে পড়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি জেজে লালপেখলুয়া। হাঁটুর চোট তাঁকে বারবার ভুগিয়েছে। তাই মাত্র ৩২ বছর বয়সেই ফুটবল জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হয়েছিলেন একসময় ভারতের এই সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকার। তবে এবার ফুটবল ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বাজিমাত। এমএনএফ প্রার্থী তথা মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর লালথাংলিয়ানাকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন জেজে লালপেখলুয়ার।
আরও পড়ুন: “ভেবেছিলাম কালপ্রিট হয়ে যাব”, – দলকে জিতিয়ে কেন এমন বললেন আর্শদীপ সিং?
সোমবার সকাল ৮টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হয়। সেখানে এমএনএফ প্রার্থী তথা মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর লালথাংলিয়ানা দক্ষিণ তুইপুই আসনে জেডপিএম-এর জেজে লালপেখলুয়ার কাছে হেরে যান। জোরাম পিপলস মুভমেন্ট মনোনীত প্রার্থী জেজে লালপেখলুয়া ৫৪৬৮ ভোট পেয়েছেন এবং মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রার্থী আর লালথাংলিয়ানা ৫,৩৩৩ ভোট পেয়েছেন ও কংগ্রেসের সি লালডিন্টলুয়াঙ্গা পেয়েছেন ২,৯৫৮ ভোট।
প্রসঙ্গত, পুনে এফসি-র যুব দল থেকে উত্থান জেজে-র। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পুনে এফসি-র যুব দলেই ছিলেন। ২০১১ সালে পুনে এফসি-র সিনিয়র দলে সই করেছিলেন জেজে লালপেখলুয়া। সেই বছরই জাতীয় সিনিয়র দলে সুযোগ পান তিনি। ২০১৩ সালে যোগ দেন ডেম্পোতে। ২০১৪ সালে খেলেন মোহনবাগানের হয়ে। সেই মরশুমে চেন্নাইনের হয়ে আইএসএল খেলেন জেজে। ২০২০ সাল পর্যন্ত চেন্নাইনের জার্সি গায়ে আইএসএল খেলেন। তবে ২০১৬-১৭ মরসুমে তিনি আবার মোহনবাগানে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে ইস্টবেঙ্গলেও খেলেন জেজে লালপেকলুয়া। চেন্নাইয়ান এফসির হয়ে দু'বার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন, ২০১৫ ফেডারেশনের বর্ষসেরা পুরস্কারও পেয়েছিলেন জেজে লালপেখলুয়া ওই বছরই জিতেছেন আইলিগও। দারুন প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বারবার চোটই এই মিজোরাম স্ট্রাইকারের ফুটবল জীবন দীর্ঘায়িত হতে দেয়নি।