এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ২০১৭ সালে শিলিগুড়িতে ডার্বি ম্যাচে স্টেইনগান সেলিব্রেশন করে ময়দান কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সোনি নর্ডি। ৭ বছর পর বাগান ভক্তদের একসময়ের নয়নের মণির স্মৃত উস্কে দিলেন বর্তমান মোহনবাগান সমর্থকদের অত্যন্ত প্রিয় ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস। খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলে সহজ জয় তুলে নিল হাবাসের মোহনবাগান। ৩-০ ফলাফলে জয়ী সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচের শুরুতেই উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ৩১,৩৩২ মোহনবাগান সমর্থক। জামশেদপুরের গুটখা প্রীতিকে নিয়ে খোঁচা মারা টিফোটি হয়ত দেখতে পেয়েছিলেন জামশেদপুর এফসির ফুটবলাররা। এদিকে মাঝমাঠকে শক্তিশালী করে তিন ব্যাকেই নামলেন হাবাস। তার ফলই এল সাত মিনিটে।
জেসন কামিংসের দুরন্ত থ্রু পাসে ডানদিক দিয়ে মনবীর সিং মাইনাস বাড়ান বক্সের ধারে, যেখানে দিমিত্রি পেত্রাতোসের দুরন্ত শটে পরাস্ত হন টিপি রেহনেশ। তবে গোল খাওয়ার পর জামশেদপুর তেড়েফুঁড়ে ওঠে। ড্যানিয়েল চিমার শক্তি ও উইং থেকে সানান মহম্মদ ও ইমরান খানের গতি বারবার পরীক্ষায় ফেলছিল মোহনবাগান রক্ষণকে। তবে আনোয়ার আলি ও হেক্টর ইয়ুস্তে সদা তৈরি ছিল আক্রমণকে আটকানোর জন্য। অন্যদিকে ইমরান ও চিমার দুটি দুরন্ত শট বাঁচান গোলকিপার বিশাল কাইথ, নইলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ত মোহনবাগান।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জামশেদপুর আক্রমণ করতে থাকে। তবে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল মোহনবাগান। মনবীর সিং ডানদিক থেকে বারবার সুযোগ তৈরির চেষ্টায় ছিলেন। ৬৫ মিনিটে জেসন কামিংসের শট পোস্টে লাগে, আর তার ফিরতি বলে মনবীরের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তবে তার তিন মিনিটেই গোল করেন কামিংস। জনি কাউকো ও মনবীরের ওয়ান-টুতে দুরন্ত থ্রু পাসে বল পান অজি বিশ্বকাপার, সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। এরপর খেলা ধরে নেয় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। ৮০ মিনিটে নিজেদের লিড আরও বাড়িয়ে নেয় মোহনবাগান। দিমিত্রির পাস থেকে মনবীর বল নিয়ে পাস বাড়ান আর্মান্দো সাদিকুর উদ্দেশ্যে, আর সাদিকু তার সুযোগ নষ্ট করেননি।
তিন গোলে জিতে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই মোহনবাগান। ওড়িশা এফসির থেকে এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্টে পিছিয়ে হাবাসের দল।