মাজিয়ার কাছে হেরে এএফসি অভিযান শেষ মোহনবাগানের

মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব - ১ (হাসান রাইফ)
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট - ০
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ম্যাচটির গুরুত্ব বলতে গেলে ছিল সম্মানের লড়াই। দুই দলই ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে এএফসি কাপের লড়াই থেকে। তবে মাজিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে এএফসি অভিযান শেষ করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ঘরের মাঠে বারংবার মাজিয়ার ক্রমাগত আক্রমণকে সামলেছে মোহনবাগানের তরুণ ব্রিগেড।
রিজার্ভ বেঞ্চ ও দ্বিতীয় সারির দল থেকে মাত্র ১৩ জন ফুটবলার নিয়ে মালদ্বীপ এসেছিলেন মোহনবাগানের সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। ফলে ম্যাচে সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। বরং মাজিয়া ঘরের মাঠে শুরু থেকে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছিল। তবে সুহেল-টাইসনরা কিছু কিছু সময়ে গোলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, কিন্তু গোল করতে পারেননি তারা।
আরও পড়ুন - আসন্ন ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে শুরু হবে আইসিসির নতুন এই নিয়মের ট্রায়াল
ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোলের খরা মেটে। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত কার্লার শটে আর্শ আনোয়ারকে পরাস্ত করে মাজিয়াকে এগিয়ে দেন হাসান রাইফ।
আরও পড়ুন - উইকেট পড়লেও ব্যাটার হলেন না আউট! অবাক ক্রিকেট মহল
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোহনবাগান আক্রমণাত্মক শুরু করলেও ধীরে ধীরে মাজিয়া খেলা ধরে নেয়। বারবার মোহনবাগান বক্সে আক্রমণের ঝড় তুললেও গোলমুখ আর খুলতে পারেনি মাজিয়া। এদিন যেন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করলেন আর্শ। একের পর এক দুরন্ত সেভ দেন তিনি। তবে মাজিয়ার বালাবানোভিচরা বেশ কিছু সহজ সুযোগও নষ্ট করেন।
তবে ১৩ জনের স্কোয়াডে রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন ফরোয়ার্ড ফারদিন আলি মোল্লা ও গোলকিপার সৈয়দ জাহিদ, যারা দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে যেটি চমকে দেওয়ার, গোলকিপার হওয়া সত্ত্বেও ম্যাচের শেষ ১০ মিনিট আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন জাহিদ। টাইসন সিং চোট পাওয়ার জেরে বাধ্য হয়ে পরিবর্ত হিসেবে নামতে হয়েছিল জাহিদকে। আর খেলতে নেমে হলুদ কার্ডও দেখেন জাহিদ।
আরও পড়ুন - KKR-এ শূন্যের হ্যাটট্রিক করেই গৌতম গম্ভীর পেয়েছিলেন হাঁসের মাংস!
এই হার সত্ত্বেও গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করল মোহনবাগান। তবে মাজিয়ার কাছে হারলেও সুমিত রাঠি, সুহেল ভাট, টাইসন সিংদের এই পারফর্মেন্স নিয়ে খুশিই হবেন মোহনবাগান সমর্থকরা, যেভাবে তারা মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে লড়ে গেল।