৪২ বছরে পা দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির তৈরি করা স্মরণীয় ইতিহাস আগামী প্রজন্মের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একজন খেলোয়াড় এবং একজন অধিনায়ক হিসেবে খেলাধুলায় তাঁর প্রভাব অতুলনীয়। ধোনির অবিশ্বাস্য দক্ষতা, প্রতিজ্ঞা তাঁর সফলতার অন্যতম কারণ।
২০০৪ সালে তাঁর অভিষেক থেকে ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত, ধোনির আন্তর্জাতিক কেরিয়ার প্রায় ১৬ বছর বিস্তৃত ছিল। এই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে অসংখ্য জয় এবং টুর্নামেন্টে নেতৃত্ব দেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত ২০০৭ সালে আইসিসি টি-২০, ২০১১ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। এই জয়গুলি বিশ্ব ক্রিকেটে নজির গড়ে। এছাড়াও চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্বে দিয়ে ৫ টি আইপিএল ট্রফি এবং দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন মাহি।
আরও পড়ুন: মুম্বাই সিটি এফসিতে সই করলেন এই প্রাক্তন মোহনবাগানী
ধোনির শান্ত স্বভাব ও কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর ঠান্ডা মাথাই সফলতার অন্যতম কারণ। তার নেতৃত্বের দক্ষতার বাইরে, ধোনির ব্যাটিং টেকনিক ছিল ব্যতিক্রমী। ধোনি ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার।রান তাড়া করার ক্ষেত্রে দলের হয়ে বিশেষ ভূমিকা থাকত তাঁর। এছাড়াও ধোনির হেলিকপ্টার শর্ট ভারতে একটি আইকনিক শর্ট হয়ে ওঠে।প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ডব্লিউভি রমনের মতে, ধোনির সবচেয়ে বড় ইউএসপি হল তিনি সবকিছুই সহজ ভাবে দেখেন এবং জিনিসগুলিকে জটিল করেন না। সে তাঁর খেলোয়াড়দের কীভাবে ব্যাবহার করবেন সেটা তিনি খুব ভালো ভাবে বুঝতেন এটাই একজন মহান অধিনায়কের বৈশিষ্ট্য।
ধোনি লক্ষ লক্ষ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন, বিশেষ করে ছোট শহর থেকে, প্রমাণ করেছেন যে প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রম যেকোনো বাঁধা অতিক্রম করতে পারে। তাঁর সাফল্যের গল্প অগণিত যুবকদের ক্রিকেট কেরিয়ার হিসাবে অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে এবং ভারতের সমস্ত ক্রিকেট প্রতিভার কাছে ধোনি হলেন অন্যতম আইকন।ধোনির কেরিয়ার যত এগিয়েছে সাথে সাথে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী একটি বিশাল ফ্যান ফলোয়িং অর্জন করেছেন ধোনি। ভক্তরা তাঁকে স্নেহের সাথে "ক্যাপ্টেন কুল" এবং "থালা" বলে উল্লেখ করেন।
যদিও ধোনির অবসর নিয়ে জল্পনা চলছে। তাঁর শৈশবের কোচ কেশব ব্যানার্জির মতে, অবসরে গেলে কারও প্রশ্ন করা উচিত নয়। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং এটাকে আমাদের সকলকে সম্মান করতে হবে।ধোনি পুরো আইপিএল মরসুমে হাঁটুর চোটের সাথে লড়াই করছিলেন এবং তাঁর দল আইপিএল ২০২৩ জেতার মাত্র দুই দিন পরে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আশা করা হচ্ছে যে সিএসকে অধিনায়কের রিহ্যাবের পথ দীর্ঘ হবে। তবে ধোনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আইপিএলের পরবর্তী মরশুমে খেলার চেষ্টা করবেন।
চেন্নাই সুপার কিংসের সিইও কাশি বিশ্বনাথন আশাবাদী যে ধোনি পরের মরসুমে আইপিএলের জন্য ইয়েলো আর্মির হয়ে নেতৃত্ব দেবেন।ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির অবদান, তাঁর অনন্য নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে তাঁর কৃতিত্ব সারাজীবন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।