এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ বড় ম্যাচ মানেই জিরো থেকে হিরো হওয়া কিংবা হিরো থেকে জিরো। সাম্প্রতিক সময় অফ ফর্মে থাকা, সমালোচিত হওয়া অজি বিশ্বকাপার হয়তো সেই কারণেই বড় ম্যাচকে টার্গেট করেছিলেন। 'সুপার কার' ম্যাকলারেন যেমন দ্রুত গতির জন্য বিখ্যাত, সেরকমই আইএসএল ডার্বির দ্রুততম গোলটি করে ফেললেন জেমি ম্যাকলারেন। মরশুমের তিনটি বড় ম্যাচের তিনটিতেই গোল করে বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি বড় ফুটবলার। গুয়াহাটিতে আয়োজিত কলকাতা ডার্বিতে ১-০ গোলে জয়ী মোহনবাগান।
এদিন জেমি ম্যাকলারেন এবং জেসন কামিংস দুই অজি বিশ্বকাপারকে সামনে রেখেই দল সাজান কোচ জোসে মোলিনা। অন্যদিকে অস্কার ব্রুজো ক্লেইটন-দিয়ামান্তাকোসকে সামনে রেখে দল সাজান। তবে জোড়া বিদেশি ফরোয়ার্ডে ফল পান মোলিনা। ম্যাচ শুরুর মাত্র দেড় মিনিটে আশিষ রাইয়ের বাড়ানো বল ধরে ঠান্ডা মাথায় গোল করে যান ম্যাকলারেন। এই নিয়ে মরশুমের তিনটি ডার্বির তিনটি ম্যাচেই গোল করলেন ম্যাকলারেন।
তবে এই ৪ মিনিটের মধ্যেই শোধ করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর মাইনাস ধরে ক্লেইটন সিলভা ডেভিডের সঙ্গে বক্সের ভিতর ওয়ান-টু খেলে অরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যান। কিন্তু টম অলড্রেডের অসামান্য ট্যাকেলে বেচে যায় মোহনবাগান।
এরপর ব্যবধান বাড়ানোর বেশ কয়েকবার সুযোগও পায় মোহনবাগান কিন্তু ম্যাচের সহজতম সুযোগ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মনবীর সিং।
অন্যদিকে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগেই বক্সের ভিতর আপুইয়ার হাতে বল লাগে কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলাফলেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধের চেষ্টায় আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সবুজ-মেরুন রক্ষণভাগে আটকে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। প্রতি আক্রমণেও মোহনবাগান ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করে। লিস্টন-মনবীরদের আটকাতে গিয়ে একের পর এক হলুদ কার্ড দেখেন নিশু,লালচুননুঙ্গারা। ৬৪ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডের কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সৌভিক চক্রবর্তী। দশজনের ইস্টবেঙ্গল দলকে আরও চেপে ধরে মোহনবাগান।
তবে ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিট লড়াই করে দশ জনের ইস্টবেঙ্গল দল। বারংবার গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে যান দিয়ামান্তাকোস ক্লেইটন বিষ্ণুরা। কিন্তু টম, আলবার্তো, শুভাশিসদের শক্তিশালী রক্ষণে আটকে যান তারা। ম্যাকলারেনের দ্রুততম গোলেই ডার্বি জয় মোহনবাগানের। এবং এর পাশাপাশি আইএসএল এর লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসির থেকে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।