শত মোহনবাগানীদের হৃদয়ে থেকে কেরালার উদ্দেশ্যে কলকাতা ছাড়লেন প্রীতম কোটাল

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: সবুজ মেরুন জার্সিতে জিতেছেন একাধিক ডার্বি। হুগলির উত্তরপাড়ার প্রীতম এবার পাড়ি দিতে চলেছেন কেরালায়। শুক্রবার কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রীতম কোটাল।রবি ঠাকুরের সেই গানটি হটাৎই যেন মনে পড়ছে, "আমার যাবার বেলায় পিছু ডাকে, ভোরের আলোয়, মেঘের ফাঁকে ফাঁকে।" মোহনবাগানের সঙ্গে নাড়ীর সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক,বাবা মোহনবাগান সমর্থক। কিন্তু প্রফেশনাল ফুটবল জীবনে অনেক সময় আবেগকে বস্তাবন্দি করে রেখে বেরিয়ে পড়তে হয় প্রফেশনের তাগিদে। প্রীতম কোটালের কাছে এই বিকেলটা ছিল তেমনই। এবারের ২১শে জুলাইটা এভাবেই লেখা থাকল প্রীতমের জীবনে।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে ম্যাজিক গোলের নায়ক সৈকত সরকার! বেড়ে ওঠা কীভাবে? জানুন
যোগ দিয়েছেন কেরালা ব্লাস্টার্স এফসিতে, নিজেকে আবার প্রমাণ করবেন হলুদ জার্সিতে কিন্তু থেকে যাবে অসংখ্য অজস্র স্মৃতি। যেমন থেকে যাবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের ওই ছেলেটি শাশ্বত সরদার। তাঁর পরিচিত এক শিল্পী শুভজিৎ সরদার এর আঁকা একটি প্রট্রেট প্রীতমের হতে তুলে দিলেন একদম কলকাতা বিমানবন্দরের গেটে এবং প্রীতমের যাওয়ার পথে এই ভালোবাসাটি মোহনবাগান নিয়ে সমস্ত স্মৃতির মধ্যে আলাদা বাড়তি একটা আচড় দিয়ে গেল বৈকি। মোহনবাগানীদের মনে এভাবেই থেকে যাবেন প্রীতম।
যাওয়ার সময় স্ত্রীকে চুম্বন দিয়ে গেলেন এবং অজস্র চুম্বন এঁকে গেলেন মোহনবাগান সমর্থকদের হৃদয়ে। চোখ মুখ দেখেই মনে হচ্ছিল কোথায় যেন মন ভার প্রীতমের। আসলে মোহনবাগানকে যে এখনও ভুলতে পারেনি প্রীতম তাইতো ভিন রাজ্যে যাওয়ার পথেও পিঠে মোহনবাগান এর ব্যাগ। যেখানে রয়েছে সবুজ-মেরুনের ছোঁয়া। এখনও বোধহয় প্রীতমের মনে শুধুই সবুজ আর মেরুন। যাওয়ার মুখে সমর্থকদের সঙ্গে ছবি, সেলফিও তুললেন প্রীতম তারপই শহর ছাড়েন।