https://streamyard.com/4jwtjwxtxe
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০-২১ মরসুমের আইএসএলে কী ইস্টবেঙ্গল খেলবে? ভারতীয় ফুটবল মহলে এখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কোয়েসের কাছ থেকে 'এনওসি' ও 'স্পোর্টিং রাইটস' ফিরে পাওয়ার পর লাল-হলুদ কর্তারা একইসঙ্গে ইনভেস্টর ও স্পনসরদের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি আগামী মরসুমে আইএসএল খেলার ব্যাপারেও ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছেন। তবে সূত্র মারফত পাওয়া এফএসডিএল ও বাকি ফ্রাঞ্চাইজিরা নাকি আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল'কে চাইছে না। কারণ, এতে ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। তাই আইএসএল সম্প্রচারকারী চ্যানেলও ইস্টবেঙ্গল নিয়ে খুব একটা ইচ্ছুক নয়। যদিও আগামী ৩১ আগস্ট আইএসএলের সূচি প্রকাশ করা হবে। তাই লাল-হলুদ কর্তাদের হাতে কিছুটা সময় রয়েছে। প্রসূন মুখার্জির কোম্পানি 'ইউনিভার্সাল সাকসেস এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড'এর সঙ্গে গাঁটছড়া পাকা হতে চলেছে। তাই এখন এত কম সময় টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে কর্তারা সব হিসেব বদলে দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। এছাড়াও ভারতীয় ফুটবলের জন্য এএফসির গাইডলাইনে স্পষ্ট লেখা ছিল, এই মরশুমে আইলিগের দুটি দলকে সুযোগ দেওয়া যাবে আইএসএলে। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মত ঐতিহ্যশালী দলকে সুযোগ দেওয়া হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই এফএসডিএলের পক্ষে কোনও দলকে বাতিল করে দেওয়া সম্ভব নয়।
নতুন মরসুমে বল গড়ানোর উপর যে নানান নিয়মের বেড়ি থাকবে তা পরিষ্কার। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এআইএফএফ এবং এফএসডিএল কর্তারা। করোনা ভাইরাসের দাপটে এবার দেশজুড়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে আইএসএল আয়োজন সম্ভব নয়। তবে আইএসএলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এফএসডিএল ও ফেডারেশন মরিয়া। তার উপর আইএসএল বিশ্বের প্রথম সারির লিগের তকমা পেয়েছে। এই অবস্থায় নতুন মরসুমে যে কোনও মূল্যে প্রতিযোগিতা করতে চাইছে। সেই কারণে গোয়া কিংবা কেরলের মধ্যে যে কোনও একটি রাজ্যে আইএসএল হবে। তবে গোয়াতেই সম্ভাবনা বেশি। আগামী ৩১ আগস্ট আইএসএলের সূচি প্রকাশ করা হবে। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের নাম থাকবে কিনা সেটাই তো এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। যদিও শোনা গিয়েছে যে প্রসূন মুখার্জি ও ক্লাবের তরফ থেকে এফএসডিএল এবং ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে আইএসএল খেলা নিয়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে আইএসএল খেলা নিয়ে একাধিক গুঞ্জন তৈরি হলেও, ক্লাব সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে শেয়ার সংক্রান্ত জটিলতা মিটে যাওয়ার পর, প্রসূন মুখার্জির কোম্পানি 'ইউনিভার্সাল সাকসেস এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড' ক্লাবের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ফলে আগামী তিনদিনের মধ্যে ফুটবল হাউস ও এফএসডিএল'কে ইনভেস্টর সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে পারলেই আইএসএল খেলার দরজা খুলে যেতে পারে। এখন এই শেয়ার বন্টন এটিকে-মোহনবাগানের মত ৮০%-২০% হবে, না অন্য অঙ্ক সামনে আসে সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত কোয়েসের সঙ্গে চুক্তির সময় শেয়ার বন্টন ৭০%-৩০% থাকলেও, বোর্ডে দুই পক্ষের সমান সংখ্যক ডিরেক্টর ছিলেন। তবে নতুন বোর্ডে প্রসূন মুখার্জির কোম্পানি 'ইউনিভার্সাল সাকসেস এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড'এর সদস্যদের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পাশাপাশি আপামোর লাল-হলুদ সমর্থকদের জন্য আরও খুশির খবর হল দলের নাম ও লোগো'তে কোনও বদল আসবে না। তবে নিয়মমাফিক জার্সির সামনে ইনভেস্টরের নাম থাকবে।