এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ ৬২,০০৭! হ্যাঁ এটাই আজকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দর্শক সংখ্যা। না, এই ম্যাচটি কলকাতা ডার্বি নয়। ম্যাচটি মোহনবাগানের। প্রতিপক্ষ সার্জিও লোবেরার ওড়িশা এফসি। যারা আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। সেই ওড়িশা এফসিকেই ঘরের মাঠে ২-০ ফলাফলে পরাজিত করে ফাইনালে মোহনবাগান। আর একটি ম্যাচ জিতলেই ত্রিমুকুটের সম্মান নিয়ে মরশুম শেষ করবে মোহনবাগান। যা সাম্প্রতিক কালে ভারতের কোনও দল পারেনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে মোহনবাগান। অন্যদিকে খেলা কিছুটা ধীরগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিল সার্জিও লোবেরার ওড়িশা এফসির। তবে এই ধীরে চল নীতিতেই বিপাকে পরে ওড়িশা। প্রথম ১০ মিনিটেই তিনবার গোলের কাছাকাছি পৌছে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
তবে প্রথম লেগে ১ গোলে পিছিয়ে থাকা মোহনবাগানকে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ২২ মিনিটে গোল করেন জেসন কামিংস। দিমিত্রির বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট অমরিন্দর সেভ করলেও ফিরতি বলে গোল করে যান কামিংস।
এরপরেও বেশ কিছুবার গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পান দিমিত্রি-কামিংসরা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হন।
প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-০ ফলাফলে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক ফুটবলই বেছে নেন থাপা, লিস্টন, মনবীররা। তবে নিজেদের ভুলে গোল করতে পারেননি মনবীর, দিমিত্রিরা।
৭২ মিনিটে অনিরূদ্ধ থাপার পরিবর্তে নামেন সাহাল আব্দুল সামাদ। দীর্ঘদিন পর মাঠে নামেন তিনি। অন্যদিকে থাপার অনবদ্য পারফরম্যান্স এর কারণে গোটা গ্যালারি উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানায়।
৭৪ মিনিটে হেক্টরের হেড অসাধারণ দক্ষতার সাথে বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর। অন্যদিকে প্রতি আক্রমণে গোল শোধের কাছাকাছি পৌঁছে যায় ওড়িশা। তবে মোহনবাগান রক্ষণভাগ দক্ষতার সাথে বাঁচিয়ে দেয়।
তবে চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেই বাগানের নায়ক হয়ে উঠলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। অতিরিক্ত সময় তার গোলেই দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ফলাফলে জয়ী মোহনবাগান। আইএসএল শিল্ডের পর আইএসএল কাপ জয়ের দোরগোড়ায় পৌছে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।