এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : এমনটা কী আগেও ভাবা হত। টি২০ ক্রিকেটে ২৬১ রান, এটা যেন এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সেই রান অনায়াসে তাড়া করা, সেই অসম্ভব ব্যাপারকে সম্ভব করে তুলল পাঞ্জাব কিংস। তাও আবার লিগে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। আর সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ফিল সল্ট (৩৭ বলে ৭৫) ও সুনীল নারাইন (৩২ বলে ৭১)। প্রথম থেকেই নাইট ব্যাটারদের ভাবনায় ছিল, বড় রান তুলতে হবে স্কোরবোর্ডে। সেই মত ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৩ বলে ৩৯), আন্দ্রে রাসেল (১২ বলে ২৪) ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার (১০ বলে ২৮) নেমে কোনও সময় নষ্ট করেননি। যার ফলে কলকাতা ২০ ওভারে ২৬১/৬ এর পাহাড়প্রমাণ স্কোর তোলে, যা ইডেন গার্ডেন্সে হওয়া কোনও টি২০ খেলায় সর্বাধিক স্কোর।
পাঞ্জাবের একা রাহুল চাহার (১-৩৩) ছাড়া প্রত্যেকে বড় রান খেয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন হর্ষাল প্যাটেল ও স্যাম কারান, যে দুজন যথাক্রমে ৪৮ ও ৬০ রান খেয়েছেন। তবে অবাক করার বিষয় হল তারকা প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাডা তিন ওভারে হজম করেন ৫২ রান।
তবে এই বড় রান হজম করেও দমেনি পাঞ্জাব। বরং শেষ লড়াই লড়ার মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন প্রভসিমরণ সিং (২০ বলে ৫৪)। শুরু থেকেই পাওয়ারপ্লেতে ঝড় তোলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে যান। এরপর রাইলি রুশো (১৬ বলে ২৬) শুরু করেও আউট হয়ে যান।
কিন্তু ওপেনিং থেকে শেষ অবধি একজন ক্রিকেটারই যেন ইডেনে রাজত্ব করে গেলেন, তিনি জনি বেয়ারস্টো। চলতি আইপিএলে খারাপ ফর্মে থাকা জনি মাত্র ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। আর তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন শশাঙ্ক সিং, যিনি মাত্র ২টি চার ও ৮টি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৬৮ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন। যার ফলে ৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে এই ম্যাচ জিতে যায় পাঞ্জাব। আর এরই সাথে টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করার বিশ্বরেকর্ড গড়ল পাঞ্জাব।
কলকাতার হয়ে একমাত্র সুনীল নারাইন (১-২৪) সব থেকে ভালো বোলিং করেছেন গোটা ম্যাচে। একমাত্র উইকেটটি তিনিই নেন। বাকি সবাই ১৫ রান প্রতি ওভারের বেশি রান দিয়ে গিয়েছেন। কেকেআরের হয়ে অভিষেক করা শ্রীলঙ্কান পেসার দুষ্মন্ত চামিরা (৩ ওভারে ৪৮) কোনও নজরই কাড়তে পারলেন না।
এই হার নিঃসন্দেহে বড়সড় ধাক্কা দেবে নাইট ম্যানেজমেন্টকে। বোলিং নিয়ে অনেকটা কাজ করতে হবে গম্ভীর-শ্রেয়াসদের।