প্রথম ভারতীয় প্যারা সুইমার হিসাবে রবেন আইল্যান্ড পার করলেন বাংলার রিমো সাহা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ রিমো সাহা, পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ মেডেল জয়ী সাঁতারু। ডান পায়ে পোলিওর সমস্যা থাকা সত্বেও সাত সমুদ্র পার করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ইতিমধ্যে ইংলিশ চ্যানেল টু-ওয়ে পারাপার করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ইংলিশ চ্যানেল ছাড়াও ক্যাথলিনা চ্যানেল, নর্থ চ্যানেল পার করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে রিমো। এবার লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার রবেন আইল্যান্ড সাঁতরে জয় করার। যে রবেন আইল্যান্ড বিখ্যাত নেলসন ম্যান্ডেলার জন্য। সেখানেই অনন্য নজির গড়লেন রিমো।

তবে দক্ষিণ আফ্রিকার রবেন আইল্যান্ডের শীতল জল এবং কঠিন আবহাওয়ার মাঝে সাঁতরে পার করার জন্য প্রয়োজন ছিল অর্থের। এইসময় রিমোর পাশে দাঁড়ান শ্রাচী গ্রুপের ডিরেক্টর রাহুল টোডি। আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে উৎসাহ যোগায় শ্রাচী গ্রুপ।

আরও পড়ুন- একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও হিজাজির প্রথম পছন্দ ইস্টবেঙ্গলই

১২ মার্চ রবেন আইল্যান্ড সাঁতরে পার করার লক্ষ্যে নামেন রিমো। ১৬ কিলোমিটারের এই দীর্ঘযাত্রা তিনি দুপুর ১ টায় শুরু করে বিকেল ৫ঃ৩০ টায় শেষ করেন তিনি। রিমো যখন সাঁতার কাটতে শুরু করেন জলের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১১-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাঁর যাত্রার মাঝে এসেছে অসংখ্য জেলিফিশ, সানফিশ, নীল তিমি, ছোট হাঙর। তবে সব বাধা অতিক্রম করে প্রথম ভারতীয় প্যারা সুইমার হিসাবে রবেন আইল্যান্ড পার করলেন বাংলার রিমো সাহা।

প্রসঙ্গত এর আগে ফুলবডি সুইমশুট ছাড়া রবেন আইল্যান্ড কেউ পার করতে পারেননি। রিমো স্কিনশুট গায়ে সাঁতরেছেন রবেন আইল্যান্ড।

আরও পড়ুন- রিপোর্ট : ভারত থেকে সরতে পারে আইপিএল ২০২৪

তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ রিমো সাহা। সাত সমুদ্র জয়ের লক্ষ্যে এবার পোল্যান্ড পাড়ি দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।

এক্সট্রা টাইম বাংলাকে রিমো জানিয়েছেন, “১২ তারিখ আমি রবেন আইল্যান্ড পার করি। তিন রকম সমস্যার সম্মুখীন হই আমি। এক ঠান্ডা জল, প্রায় ১১-১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এছাড়াও অসংখ্য জেলিফিশ সাথে ছোট হাঙর সমস্যায় ফেলেছে। তৃতীয় প্রতিবন্ধকতা ছিল, এর আগে আমি জলে সিল মাছের সাথে সাঁতার কাটিনি। এবং তারা আমায় বারংবার সমস্যায় ফেলছিল। তবে আমি সাঁতার বন্ধ করিনি। তবে এই স্বপ্ন সফলের জন্য প্রয়োজন ছিল বিপুল অর্থের। শ্রাচী গ্রুপ আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশা করবো পোল্যান্ডেও শ্রাচী গ্রুপ আমার পাশে থাকবে।”