রহিম সাহেবের আসল ওস্তাদ ছিলেন প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: শ্যাম থাপা

পিকে ব্যানার্জিকে কেমন দেখেছেন?

শ্যাম থাপা: পিকে ব্যানার্জি না থাকলে আজও হয়তো কোন শ্যাম থাপার জন্ম হতো না। আমি আজ যা হয়েছি সবকিছুই প্রদীপ দার জন্যই। প্রদীপ দার একটা গুণ আমি বেশ উপভোগ করেছি জানিনা আজকে ফুটবলাররা তা কতটা পান? ৯০ মিনিটতো মাঠে খেলতে হতো কিন্তু ওই ৯০ মিনিটের আগে ও পরে ড্রেসিংরুমের ওই ভোকাল টনিকটাই ছিল আমাদের কাছে ওষুধ। প্রদীপ দার কোচিংয়েই আমরা ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতি। আমি সেই দলে ছিলাম।

পিকে ব্যানার্জির জীবনে রহিম সাহেবের ভূমিকা কতটা?

শ্যাম থাপা: আমরা রহিম সাহেবের খেলা দেখিনি কিন্তু পিকে দা, চুনী দার কাছ থেকে বারবার একজনের কথাই শুনতাম সেটা হচ্ছে কোচ রহিম সাহেব। প্রদীপদা বলতেন “রহিম সাহেব আমায় ওস্তাদ বলে ডাকতেন।” প্রদীপ দার জীবনে রহিম সাহেবের এক বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

পিকে ব্যানার্জির কাছে রহিম সাহেবের কোন গল্প শুনেছেন?

শ্যাম থাপা: পিকেদার মুখে শুনেছি রহিম সাব একটা কথা বারবার বলতেন সেটা হচ্ছে ডিসিপ্লিন। একজন স্পোর্টসম্যান, একজন ফুটবলার তৈরি হওয়ার জন্য ডিসিপ্লিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি তা না মেনে চলতেন খুব রেগে যেতেন রহিম সাহেব। সময়ে প্র্যাকটিস, সময়ে খাওয়া, সময়ে ঘুমানো, এই সবকিছুর উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন রহিম সাহেব।

রহিম সাহেবের জীবনের উপর নতুন সিনেমা তৈরি হয়েছে কী বলবেন?

শ্যাম থাপা: বাংলা, ফুটবলের পাওয়ার হাউস কিন্তু সেই বাংলা থেকে ফুটবলকে নিয়ে সেভাবে প্রচার হয় না। তাই রহিম সাহেবের উপর এই সিনেমা ‘ময়দান’ তৈরি হয়েছে, যেখানে পিকে, চুনী, বলরাম’দারা রয়েছেন। এই সিনেমার সাফল্য কামনা করছি।