মে ১২: কোভিডের ধাক্কায় প্রায় বসে যেতে চলেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চাকা, এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল এই অর্থবর্ষের 'ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড' তথা ইসিবির হিসেবে। সদ্য প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী, ইংল্যান্ড বোর্ডের বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬.১ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬৬ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে ইসিবি জানিয়েছিল তাদের সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭২৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ক্রমাগত ক্ষতির ধাক্কায় এই বছরের শেষে মোট সঞ্চিত অর্থ কমে দাঁড়িয়েছে ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড বা ২২.৮ কোটি টাকায়। ফলে কার্যত সর্বস্বান্ত হওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে ইসিবি। 'দি হান্ড্রেড' নামক যে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগের পেছনে বিপুল টাকা ঢেলেছিল ইসিবি, কোরোনা ধাক্কায় সেটিও বিশ বাঁও জলে।
এছাড়াও গোটা ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এই অর্থবর্ষে সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ইংল্যান্ড বোর্ডের চেয়ারম্যান ইয়ান ওয়াটমোর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন,"আমরা যে আর্থিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি সেটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে যদি আমরা একসাথে কাজ করি তাহলে আমরা নিশ্চয়ই এর উত্তর খুঁজে পাবো এবং কিভাবে একটি টেকসই ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা তৈরি করা যায় ও সার্বিকভাবে খেলার প্রসার ঘটানো যায় সেটাও নিশ্চিত করতে পারবো।"
তবে ওয়াটমোর যাই বলুন না কেন, ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অর্থনৈতিক ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করছে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের ইংল্যান্ড সফরের ওপর। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ক্রিকেটের অংশ হিসেবে 'দি হান্ড্রেড' প্রতিযোগিতাটি শুরু করারও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন তারা।