চুনী গোস্বামীকে কেমন দেখেছেন?
সুব্রত ভট্টাচার্য: ১৯৬৫-৬৬ সালে গ্যালারি থেকে চুনীদার খেলা দেখতাম। আমি ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ মোহনবাগানে সই করি। চুনীদার জন্যই প্রথমবার মোহনবাগানে সই করেছিলাম। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান সহ অনেক ক্লাবের অফার ছিল কিন্তু মোহনবাগানেই সই করেছিলাম। তা একমাত্র চুনীদার কারণেই। ১৭ বছর একটানা মোহনবাগানে খেলেছি। চুনীদার জন্যই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় চাকরি পেয়েছিলাম।
চুনী গোস্বামীর জীবনে রহিম সাহেবের প্রভাব কেমন ছিল?
সুব্রত ভট্টাচার্য: চুনীদার মুখে রহিম সাহেবের অনেক গল্প শুনেছি। চুনীদাও গোল করেছিলেন এশিয়ান গেমসের ফাইনালে। বলরামদা ছিল, অরুণ ঘোষ ছিল কিন্তু রহিম সাহেব চুনীদাকেই নাকি আলাদা ভাবেই দেখতেন।
চুনী গোস্বামীর কাছে রহিম সাহেবের কোন গল্প শুনেছেন?
সুব্রত ভট্টাচার্য: ১৯৬২ তে আমরা খুব ছোট ছিলাম। ক্লাস ৩-৪ পড়তাম। চুনীদার মুখে শুনেছি খেলোয়াড়দের নিজের মতন করে বেঁধে রাখতে পারতেন। আর খেলোয়াড়রা রহিম সাহেবকে কখনও কোচ ভাবতেন না নিজেদের পরিবারের একজনই মানতেন। অরুণ ঘোষ, বলরামদা, পিকেদা সবাই রহিম সাহেবকে খুব মানতেন।
রহিম সাহেবের জীবনের উপর নতুন সিনেমা তৈরি হয়েছে কী বলবেন?
সুব্রত ভট্টাচার্য: ফুটবলে চুনী গোস্বামীর এক বিশাল বড় প্রভাব রয়েছে। সিনেমাটিতে সেটি যদি তুলে ধরা হয় তাহলে সিনেমাটি নিশ্চয়ই সাফল্য পাবে। এই ঘটনা যদি সম্পূর্ণভাবে, সঠিকভাবে তুলে ধরা যায় তাহলে নিশ্চিত এই সিনেমাটা শুধু ফুটবলের জন্য নয় সমাজের কাছেও একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে।