নিজস্ব প্রতিনিধি : ২৯ জুলাই। মোহনবাগান ভক্তদের গর্বের দিন। আবেগে ভেসে যাওয়ার দিন। এই দিনটায় ময়দানের সবুজ-মেরুন তাঁবুর ছবিটা একেবারে পালটে যায়। আলো ঝলমলে হয়ে ওঠে গোটা ক্লাব। রঙিন ফুলে মুড়ে দেওয়া হয় গেট। জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কোনও কিংবদন্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় মোহনবাগান রত্ন। কিন্তু করোনা এবার ফিকে করে দিয়েছে ময়দানের সেই রং। তাই সদস্য সমর্থকদের আবেগ আর ভালবাসার কথা মাথায় রেখে মহামারীর মধ্যে একটু অন্যরকমভাবে মোহনবাগান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন ক্লাব কর্তারা। ঘড়ির কাঁটায় সকাল বাজতেই সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন সভাপতি টুটু বোস। বুধবার সকালে ক্লাবে এসেছিলেন পলাশ নন্দী। তাঁর হাতে 'মোহনবাগান রত্ন' পুরস্কার তুলে দেওয়া হল।
ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "প্রিয় মোহনবাগানীরা। আজ ২৯ জুলাই। মোহনবাগান দিবস। প্রতি বছর এই দিনটায় আমরা উৎসবে মাতি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উৎসব চলে। দেদার পান্তুয়া খাওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তনীদের ম্যাচ ও কৃতিদের পুরস্কৃত করা হয়। তবে করোনা ভাইরাসের জন্য এবার কিছুই করতে পারলাম না। এমনকি কোভিড পরিস্থিতির জন্য পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত পালন করা গেল না। যদিও আপনারা কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই এবার আমরা 'ভারত সেরা' হয়েছি। করোনার জন্য আই লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই ফেডারেশন আমাদের জয়ী ঘোষণা করে। যদিও আমাদের প্রতিপক্ষ ক্লাব সেটা আটকানোর চেষ্টা করেছিল। তবে পারেনি। কথা দিলাম আগামী বছর আমরা সবাই মিলে 'মোহনবাগান দিবস' পালন করব। এবং একইসঙ্গে আই লিগ জয় উদযাপন করা হবে। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।"
এদিকে সভাপতির বার্তার পরেই ক্লাব তাঁবুতে এসে পতাকা উত্তোলন করেন সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত। এরপর ছিল 'অমর একাদশ'এর বেঞ্চে মাল্যদানের পালা। সেই পর্ব মিটে যাওয়ার পর বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক ও সবুজ-মেরুন ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কোচ পলাশ নন্দীর হাতে 'মোহনবাগান রত্ন' তুলে দেওয়া হয়।