মে ১২: রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নামার কথা ছিল তাঁরই, কিন্তু শরীর আচমকা বিগড়ে যাওয়ার জন্য নামতে পারেননি মাঠে, শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা করার পর ধরা পড়ে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। কেমন ছিল সেই দিন গুলো, সেই কথা আলোচনা করতে গিয়ে ঋদ্ধি জানালেন সত্যিই বড্ডো ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বরাবরই লড়াকু ছেলে পাপালি, তবুও করোনার করাল গ্রাসে নড়ে গিয়েছিল তাঁর মনোবল, একথা নিজেই জানিয়েছেন সাহা। বলেছেন,"আমি অবশ্যই খুন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, যে ভাইরাসটা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে , তাতে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনি ভয় পেতে বাধ্য।" শুধু তিনি নন, তাঁর বাড়ির লোকও যে দূর থেকে চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেকথাও জানান ঋদ্ধি। বলেন," আমার পরিবারের সকলেই খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল, আমরা বারবার ভিডিও কল করে ওঁদের আশ্বাস দেই যে ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমার ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া হচ্ছে।"
ঋদ্ধি আরও জানান যে হঠাৎই একদিন অনুশীলনের পর অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করছিলেন তিনি,আচমকাই শুরু হয় সর্দি-কাশি, দলের চিকিৎসককে সে কথা জানাতেই সতর্কতা অবলম্বন করে তাঁকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়। দ্রুত ব্যবস্থা করা হয় করোনা পরীক্ষার। কিন্তু প্রথম দিন রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও , দ্বিতীয় দিন নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তৃতীয় দিন ফের পরীক্ষা করা হয় তাঁর, আবার পজিটিভ আসায় আর অপেক্ষা করেননি চিকিৎসকরা, শুরু করা হয় কোভিডের চিকিৎসা।
তবে আশার কথা, আপাতত দিল্লিতে নিভৃতবাসে থাকা ঋদ্ধি জানিয়েছেন এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন তিনি। আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ইংল্যান্ড সফরের দলে রয়েছে তাঁর নামও। সেই প্রসঙ্গে ঋদ্ধি বলেছেন,"এখন শরীরে বিশেষ কোনো অসুবিধা নেই, জ্বর আসছে না, সর্দি কাশিটাও কমেছে। গায়ে ব্যথাও নেই আর। তবে যতক্ষণ না অনুশীলন শুরু করছি ততক্ষণ বুজতে পারবো না শরীরে দুর্বলতা আছে কিনা।"
সবশেষে ভক্তদের উদ্দেশ্য গ্লাভস হাতে সুপারম্যানের বার্তা, "চিন্তা করবেন না, আমি প্রায় সুস্থ হয়ে এসেছি।"