এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ এভাবেও ফিরে আসা যায়। দেখিয়ে দিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, অনিরুদ্ধ থাপা, বিশাল কাইথরা। কোয়ার্টার ফাইনালে পিছিয়ে থেকেও পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে টাই ব্রেকারে ম্যাচ জিতেছিল জোসে মোলিনার মোহনবাগান। সেমিফাইনালেও সেই ধারাই বজায় রাখল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে গত ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম একাদশ থেকে ব্যপক পরিবর্তন করেন মোলিনা। মরশুমে প্রথমবার শুরু থেকে খেললেন দিমিত্রি। গ্রেগ নামলেন পরিবর্ত ফুটবলার হয়ে৷ আপুইয়া, অনিরুদ্ধ, সাহালদের নিয়ে মাঝমাঠ সাজান মোহনবাগান কোচ। তবে প্রথমার্ধে লিস্টনের ট্যাকেলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। গোল করেন সুনীল। যদিও পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় তবে মোহনবাগান ফুটবলারদের প্রতিবাদে কান দেননি ম্যাচ রেফারি।
প্রথমার্ধেই গোল শোধ করতে পারত বাগান ফুটবলাররা। কিন্তু পোস্ট বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে আপুইয়ার ভুল পাস থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ায় বেঙ্গালুরু। এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ম্যাচ শেষের ৫ মিনিট আগে দলকে সমতায় ফেরান অনিরুদ্ধ। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো বেঙ্গালুরু জাল কাঁপিয়ে দেয়।
পেনাল্টি শুট আউটে আরও একবার নায়ক বিশাল কাইথ। কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমি ফাইনালেও দুটি শট সেভ করে মোহনবাগানকে নিয়ে গেলেন ডুরান্ড কাপ ফাইনালে। পরপর দুইবার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সবুজ মেরুন সমর্থকেরা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড।