"কোয়েসের পাপ আমাদের বহন করতে হচ্ছে!", ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ক্ষুদ্ধ দেবব্রত সরকারের

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গলবার সকাল থেকে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে নয়া হতাশার খবর এসে হাজির হয়েছে। বিশ্বকাপার জনি আকোস্টার বকেয়া বেতন না দেওয়ায় ফিফার তরফ থেকে ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এবং এর জেরে পুরো দায় এসে পড়েছে ঐতিহ্যশালী ক্লাবের কর্তাদের উপরেই।
আদতে ক্লাবে দ্বিতীয় দফায় আসা জনি আকোস্টার বেতনের দায়ভার ছিল প্রাক্তন ইনভেস্টর কোয়েসের উপর, যেহেতু সেই সময় তাদের হাতে ছিল স্পোর্টিং রাইটস। কিন্তু যেহেতু টার্মিনেশনটি একপক্ষ হয়েছিল, ফলে বেতনের দায়ভার পুরোপুরি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে দিয়ে পাততাড়ি গুটিয়েছিল কোয়েস। এই পরিস্থিতিতে এবার এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ালেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার।
এক্সট্রা টাইম বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে দেবব্রত সরকার বলেছেন, "ফিফার ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশ হয়েছে, এটি আজ সকালবেলায় শ্রী সিমেন্ট ফাউন্ডেশন মারফত চিঠি পেরেছি। এটি সত্য, ইতিমধ্যে আমরা যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছি, আমাদের কিছু করার নেই। কারণ এগুলো কোয়েসের করে যাওয়া পাপ, সেই পাপ আমাদের বহন করতে হয়েছে।"
এরপর দেবব্রত সরকার বলেছেন, "ওরা একতরফা টার্মিনেশন করেছিল। এই একতরফা টার্মিনেশন না ফিফা মান্যতা দিচ্ছে, না এআইএফএফ মান্যতা দিচ্ছে। সেটার জন্য আমরা খুব চিন্তিত হয়ে আছি আমাদের টার্মিনেশন নিয়ে, একতরফা টার্মিনেশন নিয়ে ভবিষ্যৎ কি করে হবে।"
ফলে সব মিলিয়ে, চাপানউতোর লেগেই রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। ইতিমধ্যেই শ্রী সিমেন্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোয়েস জমানার কোনও দায়ভার তারা নেবে না, এদিকে কোয়েসও হাত তুলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে লড়াই লড়তে হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকর্তাদের।