এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: ছেলে 'বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে' টেস্টে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে শতরান করেছেন। রেড্ডির সেঞ্চুরি করে ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছেন। মাঠে বসে ছেলের খেলা দেখে আবেগে ভেসেছেন বাবা। সেই আবেগতাড়িত সিনিয়র রেড্ডি মেলবোর্নে মুখোমুখি হন খোদ সুনীল গাভসকরেরও, যাঁর নামে এই সিরিজের ট্রফি নামাঙ্কিত। ভারতীয় ক্রিকেটের 'প্রথম লিটল মাস্টারকে' দেখেই ফের আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন নীতীশের বাবা।
গাভাসকরের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন রেড্ডি সিনিয়র। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নীতীশের মা-ও। তিনিও ঝুঁকে পড়েন গাভাসকরকে। এছাড়াও নীতীশের বোনও প্রণাম করেন গাভাসকরকে।
এই সাক্ষাতের পর সুনীল গাভাসকার বললেন, "ছেলের জন্য উনি কতটা আত্মত্যাগ করেছেন, সেটা আমরা সকলেই জানি। ওঁকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। আপনার জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট আজ এই হিরে পেয়েছে।" মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ব্যাকরুমে এই আবেগঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানও টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন নীতীশের বাবার সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে রবি শাস্ত্রীও ধারাভাষ্য চলাকালীন নীতীশের সেঞ্চুরির সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। নীতীশের বাবার কষ্টের কথা শুনে এবং রেড্ডির দুর্দান্ত ইনিংসে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনিও।
বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নীতীশ বলেন, "সত্যিই বলছি, ছোটবেলায় আমি ক্রিকেট নিয়ে অতটাও সিরিয়াস ছিলাম না। কিন্তু, আমাকে ক্রিকেট শেখানোর জন্য বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এই সাফল্যের পিছনে ওঁর প্রচুর অবদান রয়েছে। একদিন তো সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে বাবাকে কাঁদতেও দেখেছিলাম আমি। এরপর থেকেই ক্রিকেট খেলাকে আমি সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে শুরু করি। আমি যখন প্রথম জার্সিটা ওঁর হাতে তুলে দিয়েছিলাম, তখন বাবার চোখে-মুখে খুশি দেখার মতো ছিল।"