এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মালদ্বীপে সাফ কাপের অভিযান শুরু করবে ভারত। ২০০৯ সালে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছিলেন সুনীল ছেত্রী, আর এবার টুর্নামেন্টের পঞ্চম সংস্করণে নামার আগে স্মৃতিচারণায় মাতলেন সুপারস্টার এই ফরোয়ার্ড। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে এই টুর্নামেন্টের বেশ কিছু স্মৃতি তিনি স্মরণ করলেন।
প্রিয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হিসেবে সুনীল ২০১৬ সালে কেরালার তিরুবনন্তপুরমে হওয়া টুর্নামেন্টের কথা বলেন। তিনি বলেছেন, "এটি আমার সাথে সব সময় থেকে যাবে। প্রথম ম্যাচে রবিন সিং চোট পাওয়ার পর, আমাদের কেবল ১৯জন খেলোয়াড় ছিল এবং এক তরুণ দল নিয়ে আমরা খেতাব জিতেছিলাম।"
সুনীল ছেত্রীর কথায়, সেই বছরের ফাইনালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বেশ উত্তেজক ছিল, প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সেই দিন ভারতকে সমর্থন করেছিল। আর সেই ফাইনালে জেজে লালপেখলুয়ার গোলকে সেরা হিসেবে বর্ণনা করেন সুনীল। সেই ম্যাচে ০-১ এ পিছিয়ে ছিল ভারত।
এই গোল নিয়ে সুনীল বলেছেন, "যদি আমরা তখন গোল না করতাম, তাহলে আমরা অস্থির হয়ে পড়তাম এবং ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। আমরা শেষ অবধি ২-১ এ জিতেছি।"
এদিকে এই টুর্নামেন্টের সব থেকে কঠিন ম্যাচ হিসেবে ২০১৩ সালে কাঠামান্ডুতে নেপালের বিরুদ্ধে লড়াইকে উল্লেখ করেছেন সুনীল। তিনি বলেছেন, "বেশ কয়েকটি রয়েছে, কিন্তু ২০১৩ সালে কাঠমান্ডু সংস্করণে নেপালের বিরুদ্ধে খেলাটা সবার থেকে আলাদা। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ছিল, আর আমরা দর্শকপূর্ণ মাঠে ১-২ এ হেরেছিলাম। প্রচুর আওয়াজ হচ্ছিল, আর এটি সব থেকে কঠিন ম্যাচ ছিল।"
কোন ভারতীয় খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্টে সব থেকে বিপদজনক ছিল? এর জবাবে সুনীল প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বাইচুং ভূটিয়ার নাম নিয়েছেন। এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে যে খেলোয়াড়দের প্রশংসা করা যায়, সেখানে বাইচুং, জেজে ও ইউজিনসেন লিংডোর নাম করেছেন সুনীল।
এই নিয়ে সুনীল বলেছেন, "বাইচুং দা আর জেজে। এছাড়া ইউজিনসেন লিংডো, যদিও আমি খুব কম সময় ওর সাথে খেলেছি, আমি ওর খুব ভক্ত, আর আমরা খুব কাছের। তবে আমি সকলেরই খুব কাছের।"
আর শেষে সাফ অঞ্চলের পছন্দের খেলোয়াড় হিসেবে মালদ্বীপের খেলোয়াড় আলি আশফাকের নাম নিয়েছেন সুনীল। তিনি বলেছেন, "উনি অসাধারণ ছিলেন, বল পায়ে পেলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেন।"