এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী দিনে কোন জায়গায় যাচ্ছে ক্রিকেট, তার বড়সড় উদাহরণ বুধবারের ম্যাচটি। বুধবার হায়দরাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে যেন চলল রানের সুনামি, বইল রেকর্ডের বন্যা। আর এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ৩১ রানে হারায় হায়দরাবাদ।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা হায়দরাবাদ শুরুতে হারায় মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে। কিন্তু তারপর কোনও ব্যাটারই রেয়াত করেনি মুম্বাইয়ের বোলারদের। প্রথমে ট্র্যাভিস হেড (২৪ বলে ৬২) ও অভিষেক শর্মা (২৩ বলে ৬৩) এর দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল, ৩০০-ও পেরিয়ে যেতে পারে তারা। এরপর সেই গতিকে ধরে রাখেন হেনরিখ ক্লাসেন। ইডেনের পর এবার উপ্পলেও তুললেন ঝড়! মাত্র ৩৪ বলে করলেন ৮০ রান। যার জেরে আইপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়ে ২৭৭-৩ স্কোর তোলে হায়দরাবাদ।
আরও পড়ুন - মুম্বইয়ের হয়ে ২০০ ম্যাচ, রোহিতকে বিশেষ উপহার শচীন তেন্ডুলকরের
জসপ্রীত বুমরাহ (৪-৩৬-০) ছাড়া মুম্বাইয়ের কোনও বোলারই এই ঝড় থেকে বাঁচতে পারেননি। তরুণ প্রোটিয়া বোলার কোয়েনা মাফাকা নিজের প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে এসে চার ওভারে দিয়ে বসলেন ৬৬ রান।
২৭৮ রান টি২০ ক্রিকেটে তোলা মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার সমান ছিল। কিন্তু মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা লড়ে গিয়েছে। শুরুতে ইশান কিশান (১৩ বলে ৩৪) ও রোহিত শর্মার (১২ বলে ২৬) ঝোড়ো ব্যাটিং মুম্বাইকে ভালো শুরু দিয়েছিল। এরপর হাল ধরেন দুই তরুণ তুর্কি নমন ধীর (১৪ বলে ৩০) ও তিলক ভার্মা (৩৪ বলে ৬৪)। বিশেষ করে তিলকের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং মুম্বাইকে জয়ের রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে হায়দরাবাদের বোলিংয়ে পেরে উঠছিল না মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা। নমন ও তিলক আউট হওয়ার পর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (২০ বলে ২৪) ও টিম ডেভিড (২২ বলে ৪২) সেভাবে খেলতে পারেননি। বলা বাহুল্য, শেষের দিকে প্যাট কামিন্স ও জয়দেব উনাদকাটের বুদ্ধিমানী বোলিংয়ে বড় শট মারতেই পারছিলেন না দুজনে। যখন বড় শট মারলেন ডেভিড, খেলা ততক্ষণে হায়দরাবাদের পকেটে। শেষ অবধি ২০ ওভারে ২৪৬/৫ স্কোরেই থামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।