এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ গত মরসুমে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল শিল্ড জয়ী আনোয়ার আলি নতুন মরসুমে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন। ভারতীয় তারকা ডিফেন্ডারকে নিয়ে বাংলার দুই বড় দলের টানাপড়েন পৌঁছায় এআইএফএফ প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি পর্যন্ত। যেখানে এই কমিটি প্রথমে আনোয়ার সহ ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিকে আর্থিক জরিমানা এবং ব্যানের সিদ্ধান্ত জানায়। তবে ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জানায় দিল্লির হাই কোর্ট। ফলত আনোয়ার ইস্যুর রায় ঘোষণা বারংবার পিছিয়ে যেতে শুরু করে। তবে কি ফেডারেশনের ভুলের জন্যই থমকে গেল আনোয়ার ইস্যু? সামনে এল বড় রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত আনোয়ার আলির উকিলের অস্ত্রোপচার থাকার কারণে পিছিয়ে যায় আনোয়ার ইস্যুতে পুনরায় রায় ঘোষণা। এরইমাঝে দিল্লি এফসির তরফে এআইএফএফ এর বিরুদ্ধে একটি বড়সড় অভিযোগ জানানো হয় দিল্লি হাই কোর্টে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দিল্লি হাই কোর্টের তরফে এবার জানানো হয় রায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সাঝি প্রভাকরণ ফেডারেশনের যাবতীয় কমিটি অর্থাৎ প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, আপিল কমিটি এবং এথিক্স কমিটি গঠন করেছিলেন। যে কমিটি গঠন নিয়েই উঠছে প্রশ্ন!
শোনা যাচ্ছে যে ফেডারেশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক হাই কোর্টে জানিয়েছেন যে এইসমস্ত স্বাধীন কমিটি গঠন কীভাবে হয়েছে তা জানেননা এআইএফএফ সভাপতি, সহ সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এবং অন্যান্য কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যরা।
এর পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে যে ফেডারেশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন যে, শৃঙ্খলা কমিটির কোনো বিষয় অন্য কমিটির কাছে পাঠানো কিংবা সথিক সিদ্ধান্ত জানাতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা প্রথম নয়। ফলস্বরূপ নতুন কমিটি গঠনের কথাও উঠছে। এই বিষয় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে সঠিক জবাব দিতে বলেছে দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত ফুটবল ফেডারেশনের প্রাক্তন সাধারণ সচিবের গঠন করা এই সকল কমিটি শুধু আনোয়ার আলির বিষয়েই নয়, ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স সহ বহু ক্লাব ও খেলোয়াড়ের বিষয় রায় দিয়েছিল। যার ফলে শোনা যাচ্ছে যে ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ২০০ জনেরও বেশি মানুষ এই কমিটির রায়ের জন্য প্রভাবিত হয়েছেন।
ফেডারেশনের কমিটি গঠনের এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য কি ভারতীয় ফুটবলের সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তিত্বের ক্ষতি হয়ে গেল? এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তর্ক বিতর্কের। অন্যদিকে আনোয়ার আলি ইস্যু পিছিয়ে যাওয়ার কারণও ফেডারেশনের ভুলেই একথা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।