এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ কোচ অস্কার ব্রুজোর হাত ধরে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ দুই ম্যাচে জয়, শেষ তিন ম্যাচে ক্লিনশিট। কিন্তু ঘরের মাঠে জয়ের হ্যাটট্রিক হলনা ইস্টবেঙ্গলের। সৌজন্যে রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত, শুরুতেই তালালের চোট এবং এগিয়ে থেকেও গোল না ধরে রাখতে পারার রোগ। ওড়িশার বিরুদ্ধে ১-২ ফলাফলে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে মেতে ওঠে দুই দল। তবে ম্যাচের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। সল-দিমিহীন ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার যিনি ছিলেন সেই মাদি তালাল চোট পেয়ে মাঠেই শুয়ে পড়েন মাত্র ৪ মিনিটে। এরপর তিনি আবারও শুশ্রূষা করে মাঠে নামলেও ১২ মিনিটে তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন অস্কার ব্রুজো।
ফলে শুরু থেকে যে ছন্দে ইস্টবেঙ্গল খেলছিল সেই ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। যেকারণে প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় জুড়েই খেলার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখেন হুগো বুমোস-আহমেদ জাহুরা। তবে দুবার পোস্টে লাগে ওড়িশার শট। এরই মাঝে ৪৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জিকসন সিং।
যদিও জিকসন সিংয়ের লাল কার্ড নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। রেফারি তেজস ৭ মিনিটে জিকসনকে প্রথম হলুদ কার্ড দেখান। যেটি ন্যায্য ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সময় জিকসনের হাত মরিশিওর গায়ে লাগলে প্লে অ্যাক্টিং করেন মরিশিও। প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-০ ফলাফলে।
দ্বিতীয়ার্ধে দশজনের ইস্টবেঙ্গল ৫৩ মিনিটে লালচুননুঙ্গার গোলে এগিয়ে যায়। যদিও সেই ব্যবধান দুই মিনিটের মধ্যেই মুছে দেন ওড়িশার জেরি।
৮১ মিনিটে ওড়িশার দ্বিতীয় গোলটি করেন প্রাক্তন মোহনবাগান ফুটবলার হুগো বুমোস। যদিও ১০ জনের ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলের ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো ওড়িশা। কিন্তু গিলের অনবদ্য কিছু সেভের জন্য তা হয়নি।
আনোয়ার, সৌভিক চক্রবর্তীরা লড়াই করলেও ১-২ ফলাফলে ম্যাচ জিতে নেয় লোবেরার ওড়িশা এফসি।