বিসিসিআই সদর দপ্তরে ‘SRT 100’ বোর্ডরুম উদ্বোধন করলেন শচীন তেন্ডুলকর

Photo- BCCI
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ মুম্বইয়ের বিসিসিআই সদর দপ্তরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান শচীন তেন্ডুলকরের নামে ‘SRT 100’ নামে একটি নতুন বোর্ডরুমের উদ্বোধন করা হলো। এই বোর্ডরুমটি তাঁর ১০০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি এবং ক্রিকেটে তাঁর অসামান্য অবদানকে সম্মান জানাতে তৈরি করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। একই অনুষ্ঠানে গাভাস্কারের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘10000 Gavaskar’ নামে একটি কক্ষ উৎসর্গ করা হয়। সম্মান পেয়ে শচীন বিসিসিআই কর্তাদের ধন্যবাদ জানান।
এক ভিডিও বার্তায় শচীন বলেন, “এই সম্মান পেয়ে আমি অত্যন্ত আবেগাপ্লুত। বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই এই উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য। এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি এটি আমার শেষ সফর নয়। আমি বারবার এখানে আসব এবং এই ট্রফিগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করব। ভবিষ্যতে আরও অনেক ট্রফি আসবে, এবং সেটা হবে দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।”
অনুষ্ঠানে নিজের ক্রিকেট জীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন শচীন। তিনি জানান, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর তিনি অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে এক কথোপকথন তাঁকে আবার জাতির সেবা করতে অনুপ্রাণিত করে।
“২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফেরার পর খুব হতাশ ছিলাম। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি থেমে যাওয়ার সময় এসেছে। তখন আমার ভাই বলেছিল, ২০১১ বিশ্বকাপ হবে ভারতে, আর ফাইনাল হবে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। ভাবতে পারো, ওই ট্রফি হাতে তুমি একটা বিজয় মিছিল করছ?”
অনুষ্ঠানে শচীন তাঁর ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের একটি পুরনো ছবিতে স্বাক্ষর করেন এবং একটি পুষ্পস্তবকও গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, জীবনে প্রথমবার ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ট্রফি সামনে থেকে দেখে তিনি কতটা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
“সেই ট্রফি দেখেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন জন্ম নিয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল আমার যাত্রা। ২০০৭ থেকে ২০১১ — সেই চার বছরে লক্ষ্য ছিল একটাই, ওই ট্রফি জেতা। জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত থেকে সেরা মুহূর্তে পৌঁছানোর সফর ছিল সেটা,” বললেন মাস্টার ব্লাস্টার।
শেষে শচীন বলেন, “আমি যাঁদের দেখে বড় হয়েছি, তাঁদের মধ্যে একজন রজার বিনিও এখানে রয়েছেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় আমাদের টিম ও অফিসিয়ালদের যৌথ পরিকল্পনার ফল। এইরকম পরিকল্পনা হয় এই বোর্ডরুমের মতো ঘরেই। তাই এই ঘরের গুরুত্ব অপরিসীম।”