এক্সক্লুসিভ: বন্ধ হয়ে যেতে পারে কলকাতা লিগ! আইনের পথে যেতে পারে ইস্টার্ন রেল!

এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক: বন্ধ হয়ে যেতে পারে কলকাতা লিগ। চ্যাম্পিয়ন কে? কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন কে? ইস্টবেঙ্গল না ডায়মন্ড হারবার এফসি?গোটা বিষয়টাই এখন রয়েছে আদালতের হাতে। চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ সংক্রান্ত কয়েকটি সিদ্ধান্ত মনমত না হওয়ায়, ডায়মন্ড হারবার এফসি আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালতের রায়ে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে স্থগিতাদেশ জারি হয়।
এর মধ্যেই নতুন মরশুমকে সামনে রেখে আইএফএ মিটিং ডেকে জানিয়েছে, আগত মরশুমে চারজনের জায়গায় পাঁচজন বাংলার ছেলেকে খেলাতেই হবে। সেইসঙ্গে দলে নিতে হবে ১৫ জন ভূমি পুত্রকে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ডিভিশন লিগ শুরুর নির্দেশও দিয়েছে আইএফএ—এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
এখানেই বেজায় চটেছে কলকাতা লিগের ঐতিহ্যশালী দল ইস্টার্ন রেল। প্রদ্যুৎ বর্মন, পিকে ব্যানার্জিদের কিংবদন্তি গাথায় রচিত ক্লাব ইস্টার্ন রেলের গত মরশুম খুব একটা ভালো যায়নি। অথচ, যে লিগে এখনও চ্যাম্পিয়ন কে তা নির্ধারিত হয়নি, সেই লিগে কীভাবে রেলিগেশন থাকবে—এই মর্মে প্রতিবাদ মুখর হয়েছে ইস্টার্ন রেল।
তাদের এই দাবির সঙ্গে সহমত হতে পারে কলকাতা লিগের নানা বিভাগের বেশ কিছু দল—সূত্রের খবর। আইনের দ্বারস্থ হতে পারে ইস্টার্ন রেল। সে ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যেতে পারে কলকাতা লিগ—এমনই আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলে।
প্রসঙ্গত, ইস্টার্ন রেল ও রেলওয়ে এফসি মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ জন ফুটবলারের চাকরি হচ্ছে চলতি আর্থিক বছরে—এমনটাই জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় রেলিগেশনের আওতায় পড়লে ৮ থেকে ১০ জন বাংলার ফুটবলারের চাকরি ব্যাহত হবে—এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
এই কারণেই রেল কর্তাদের একাংশ রীতিমতো বিরক্ত আইএফএ-র সিদ্ধান্তে। তাদের সাফ কথা—যে লিগে চ্যাম্পিয়ন দল নির্ধারিত হয়নি, সেই লিগে আবার অবনমন কীভাবে?
এখন প্রশ্ন হলো, রেল যদি সত্যিই আইনের পথে যায় তবে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লিগ স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তেমনই আশঙ্কায় ভুগছে ময়দানের একটি বড় অংশ।