‘অপারেশন সিদুঁর’-এর সময় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন বাবা-মা! জানালেন কেকেআর মহাতারকা

এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা অলরাউন্ডার মইন আলি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর পরিবারের চরম উদ্বেগের মুহূর্ত, যখন ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিদুঁর’-এর মাধ্যমে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেয়। এই অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাকিস্তানের ভিতরে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে নিশানাভেদী হামলা চালানো হয়। এর জেরে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে পৌঁছায় এবং আইপিএল ২০২৫ মরশুম মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায়। মইন আলি জানান, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার সময় তাঁর বাবা-মা ছিলেন পিওকে-তে।
‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে মইন বলেন, “আমার বাবা-মা তখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন। যেখান থেকে স্ট্রাইক হয়েছিল, সেখান থেকে হয়তো ঘণ্টাখানেক দূরত্বে। বা হয়তো একটু বেশিও। পুরো ব্যাপারটা চিন্তার বিষয় ছিল।” এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “তাঁরা যেদিন ফিরলেন, সেদিনই একমাত্র ফ্লাইট ছিল। আমি খুশি ছিলাম তাঁরা নিরাপদে ফিরতে পেরেছেন, কিন্তু পুরোটা সময়টা দারুণ চাপের ছিল।”
সংঘাত তীব্র হওয়ার পর বহু বিদেশি ক্রিকেটার তাঁদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মইন বলেন, “পুরো ব্যাপারটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। আগে কাশ্মীরে ওই হামলাটা হয়েছিল, তারপর খুব দ্রুত সবকিছুই ঘটে গেল। এমন একটা সময় এল, যখন মনে হচ্ছিল আমরা যেন যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে গিয়েছি। যদিও আমরা কোনো মিসাইল বা এরকম কিছু শুনিনি, তবু হঠাৎ করেই আমাদের ভাবতে হলো, কীভাবে এখান থেকে বেরোবো, পরিবার ঠিক আছে কিনা। বাড়িতে লোকজন উদ্বিগ্ন ছিলেন, তাঁদেরও আশ্বস্ত করতে হচ্ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই তখন দ্বিধায় ছিলেন, কেউ বলছিলেন, যুদ্ধ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। আবার কেউ বলছিলেন, যুদ্ধ অনিবার্য, প্রতিশোধ বা পাল্টা আঘাত আসবেই।”
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার মইন জানান, তাঁর সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল বিমানের উড়ান বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
“তথ্য নিয়ে এত মিথ্যে কথা ছড়াচ্ছিল যে কারও কথায় বিশ্বাস করা মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিক-কারোর উপর ভরসা করা যাচ্ছিল না। কী ঘটছে, কিছুই স্পষ্ট ছিল না। এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ দিক, কারণ আপনি জানেন না পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে। আমাদের সবচেয়ে বড় ভয় ছিল, যদি সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়, তাহলে বেরোনো যাবে না। কিন্তু এর থেকেও কঠিন অবস্থা ছিল ভারতীয় বা পাকিস্তানি স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য। তাঁরা তো একেবারে বন্দি হয়ে পড়েছিলেন, জানতেন না কী হতে চলেছে,” বলেন মইন।