এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : বিশ্ব ফুটবলের সেরা উইঙ্গারদের কথা বললে যার নাম না বলাটা অপরাধের পর্যায়ে পড়বে, সেই আর্জেন রবেন বিদায় জানালেন ফুটবলকে। ৩৭ বছর বয়সে ডাচ ক্লাব গ্রোনিনগেন থেকে অবসর ঘোষণা করলেন রবেন। এবং কি আশ্চর্য, ২০০০ সালে যে ক্লাব থেকে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, সেখানেই নিজের ইতি ডাকলেন রবেন।
যদিও গ্রোনিনগেনের তরফ থেকে রবেনকে এক বছরের জন্য নয়া চুক্তির অফার করেছিল, কিন্তু গত মরশুমে চোট-আঘাতের জেরে অধিকাংশ ম্যাচ না খেলা রবেন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন, এখনই সেরা সময় বুটজোড়া তুলে নেওয়ার। গত সেপ্টেম্বর মাসে গ্রোনিনগেনের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অভিষেক করেছিলেন রবেন। কিন্তু তারপর কেবল সাত ম্যাচ খেলার পরে প্রায় সাত মাস চোট সারাতে ব্যস্ত ছিলেন রবেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রবেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি লিখেছেন, "প্রিয় ফুটবল বন্ধুগণ, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমার ফুটবল কেরিয়ারে ইতি আনব। এটি খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই সকলকে তাদের আবেগপূর্ণ সমর্থনের জন্য।"
রবেনের গোটা কেরিয়ারই ছিল সোনায় মোড়া। ২০০০ সালে গ্রোনিনগেনে নিজের কেরিয়ার শুরু করে ২০০২ সালে পিএসভি আইন্দহোভেনে যোগ দেন রবেন। পিএসভিকে এরিডিভিসি খেতাব দেওয়ার পর ২০০৪ সালে চেলসিতে যোগ দেন রবেন। সেখানে মোট ছয়টি ট্রফি পান এই ডাচ তারকা।
চেলসির হয়ে দুর্দান্ত খেলার পর ২০০৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে সই করায়। প্রথম মরশুমে দারুণ খেললেও দ্বিতীয় মরশুমে সেই ছাপ ফেলতে পারেননি। আর তারপরেই কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট সামনে আসে। বায়ার্ন মিউনিখে সই করেন রবেন, আর সেখানে ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির সাথে অসাধারণ একটি যুগলবন্দী তৈরি করেন রবেন।
বায়ার্নের হয়ে মোট ৩০৯টি ম্যাচ খেলেন রবেন, আর ১৪৪টি গোল করে মোট ২০টি ট্রফি জিতেছেন বাভারিয়ানদের হয়ে। এছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ৯৬ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছেন রবেন। জাতীয় দলে সেরা অর্জন বলতে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলাই স্মরণীয় মুহুর্ত রবেনের জন্য।