এক্সট্রা টাইম বাংলা ওয়েব ডেস্ক: আইএসএলে শিল্ড জয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ মহামেডান যেন শিশুদের মতো অসহায়! কোনো প্রতিরোধ নেই, নেই কোনো পরিকল্পনা। মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারল না তারা। প্রথমার্ধেই ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে দিল সবুজ-মেরুন শিবির।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই প্রথম গোল করেন শুভাশিস বসু। সেট-পিস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিং। এরপর ৬ গজ বক্সের ভেতর ভুল পজিশনিংয়ের কারণে গোল হজম করে মহামেডান। মানবীর সিং-এর হেডেই আসে দ্বিতীয় গোল। মহামেডানের গোলরক্ষক পদম ছেত্রী বোঝার আগেই বল জালে!
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে তৃতীয় গোল পায় মোহনবাগান। একটি ফ্রিকিক থেকে ম্যাক্লারেনের ফ্লিকে আবারও গোল করেন শুভাশিস বসু। সেট-পিস থেকে পরপর তিন গোল হজম করে মহামেডান রক্ষণ। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই খেলছে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই মহামেডানের পরাজয় যেন লেখা হয়ে গেল।
খেলায় উত্তেজনা বাড়ে যখন কাসিমভ বাজে ট্যাকেল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের দলে পরিণত হয় মহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধেও বদলায়নি ছবি। মোহনবাগান আক্রমণের ঝড় তোলে। কামিন্সের ক্রসে মানবীর সিং আবারও দুর্দান্ত হেড করেন। ম্যাচের চতুর্থ গোল!
দশ জনের মহামেডানের জন্যে নিজেদের ফরমেশন ৪ –৩–৩ করে তিন বিদেশী সামনে রাখলেন সবুজ মেরুন কোচ!
এরপরের খেলাটি আরও আপাত নিরীহ। মনবীরকে তুলে কোচ নামালেন দিমি পেট্রাটোসকে। আশিক কুর্নিয়ন ও গ্রেগ স্টুয়ার্টকে গেম টাইম দিতে কামিন্স ও লিস্টনকে তুললেন কোচ মোলিনা। আলেক্সিসকে তুলে নতুন বিদেশি আন্দ্রেকে দেখে নিলেন মহামেডান ইমারজেন্সি কোচ মেহেরাজউদ্দিন।
গ্যালারির অবস্থাও করুণ। প্রায় ফাঁকা মাঠে একসময়ের ঐতিহ্যের ডার্বি সম্পন্ন হল যুবভারতীতে।