এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : গত সোমবার প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে ইতিহাস গড়েন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। রেকর্ড সপ্তমবার ব্যালন ডি অর খেতাব জেতেন লিও। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছে।
অনেকের মতে, মেসি নন, পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেওয়ানডস্কি ব্যালন ডি অর পাওয়ার যোগ্য। আবার অসংখ্য রোনাল্ডো ভক্তরা মনে করেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই এবারের ব্যালন ডি অর পাওয়ার দাবিদার। যদিও এবারের ব্যালন ডি অরে, প্রথম তিনে থাকা তো দূর, ছয় নম্বরে শেষ করেছেন সি আর সেভেন।
ব্যালন ডি অর পুরষ্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ ভোটিং প্রক্রিয়ার সাহায্য নেওয়া হয়। প্রথমে নির্বাচিত ১৫০ সাংবাদিক সেরা ৩০ খেলোয়াড় বেছে নেন। এরপর সেই তালিকা থেকে বাছাই করা ৫০টি দেশ থেকে বিশিষ্ট সাংবাদিকরা সেরা পাঁচ খেলোয়াড় নির্বাচন করেন। যে খেলোয়াড় শীর্ষে থাকবেন, সে ছয় পয়েন্ট পাবে, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পাবেন ৪ পয়েন্ট, আর বাকি তিন খেলোয়াড় যথাক্রমে ৩,২,১ পয়েন্ট পাবেন।
আর এভাবে ৫০ জন সাংবাদিকের ভোটের হিসেব করে যে খেলোয়াড় সর্বাধিক পয়েন্ট পাবেন, তিনিই হবেন বিজয়ী। স্বভাবত যা হয়, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা তাদের দেশের খেলোয়াড়দের এই তালিকায় রাখতে চায়। তবে সেটি করেননি স্বয়ং পর্তুগালের নির্বাচিত সাংবাদিক জোয়াকিম রিটার। নিজের বাছাই করা পাঁচ খেলোয়াড়ে স্থানই পাননি স্বদেশী ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
পর্তুগিজ সাংবাদিক যে পাঁচ ফুটবলারকে ব্যালন ডি অরের জন্য বেছেছেন, তারা হলেন,
১. এনগোলো কান্তে,
২. রবার্ট লেওয়ানডস্কি
৩. কিলিয়ান এমবাপ্পে
৪. জর্জিনহো
৫. মহম্মদ সালাহ
বলা বাহুল্য, লিওনেল মেসি ব্যালন ডি অর পাওয়ার পর এক রোনাল্ডো ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, ঠিক কি কি কারণে মেসি এই খেতাবের যোগ্য নন এবং রোনাল্ডো এর প্রবল দাবিদার। আর সেই পোস্টে লাইক দিয়ে কমেন্টে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো লেখেন, "ফ্যাক্টোস"। আর তারপর সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে স্বয়ং তারই দেশের সাংবাদিক তাকে এবারের দাবিদার মনেই করেননি।