এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক: বাংলার প্রথম স্পোর্টস পডকাস্টের প্রথম অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন বাংলা তথা ভারতের প্রখ্যাত প্রাক্তন খেলোয়াড় মেহতাব হোসেন ওরফে ভিকি। এই পডকাস্ট থেকে উঠে এল তাঁর খেলোয়াড় জীবনে পা রাখার কথা। কি বললেন তিনি? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা এই তারকা কোচিং স্টাফ হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় দলে
পডকাস্টে মেহতাব বলেছেন তিনি ফুটবল ক্রিকেট দুটোই খেলতে ভালবাসতেন। তবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা তার আরো প্রগাঢ় হয়েছে। ফুটবল তার কাছে নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এমনও বলেছেন মেহতাব। মূলত বন্ধুদের সাথে পাড়ার দাদাদের ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে যেতেন মেহতাব। তাঁর এমনই নেশা যে মাত্র ১০ বছর বয়সে বন্ধুর সঙ্গে খেলা দেখতে যেতেন তিনি। মেহতাব এও বলেছেন পার্কসার্কাস থেকে তালতলা পর্যন্ত ট্রামের পয়সা পর্যন্ত ছিল না তাঁর কাছে। যার দরুন তাঁকে ধাক্কা মেরে ট্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল সেই বয়সে।
আরও পড়ুন- ২০৩৬ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ৫টি বড় স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা আহমেদাবাদের
তবে সেই খেলা দেখার তাগিদের অনুভবেই হয়তো খেলার জগতের সঙ্গে এতটাই মেলবন্ধন ভিকির। পরে মদরাহাটে শক্তিসংঘে ভর্তি হওয়া থেকেই তাঁর খেলার জীবন শুরু। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয় না। তিনি এও উল্লেখ করেছেন, যে তিনি সর্বদাই দলের প্রথম নির্বাচন ছিলেন। তাঁর কোচ অভিদা সবাইকে বলেছিলেন, ওকে খেলতে দাও, ও অনেক নাম করবে। তাঁর নিজের থেকেও তাঁর কোচের মেহতাবের উপর বিশ্বাস ছিল বলে মেহতাব মনে করেন। তারপর কালীঘাট, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে খেলোয়াড় জীবন কেটেছে তার। আর বাকিটা মেহতাব ভক্তদের কাছে ইতিহাস।
বাঙালি মানেই ফুটবল। তার খেলার প্যাশনের মাধ্যমে স্বচ্ছ জলের মতো তা বুঝিয়ে দিলেন মেহতাব। তিনি তাঁর ফুটবল জীবনের কথা বলতে গিয়ে একটা শব্দই বারবার উচ্চারণ করেছেন আর সেটা হলো ‘হার্ডওয়ার্ক’ বা কঠোর পরিশ্রম। সেই পরিশ্রমের ফসলের নামই হয়তো মেহতাব হোসেন।