হায়দরাবাদ এফসি - ১ (মনোজ মহম্মদ)
ইস্টবেঙ্গল এফসি - ১ (জিকসন সিং)
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ঠিক কী বলবেন এই ফলাফলকে, ন্যায্য না অন্যায্য? ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা অবশ্যই উল্লেখ করবেন ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হওয়ার কাহিনী, কিন্তু শনিবার গাচিবৌলি স্টেডিয়ামে দ্বাদশ স্থানে থাকা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে যে খারাপ মানের ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল, সেটা কী জেতার মত ছিল?
স্বাভাবিক অর্থেই এদিন জিকসন সিং এবং প্রভাত লাকড়া শুরু করে। তবে পাঞ্জাব ও জামশেদপুরের বিরুদ্ধে যে ইস্টবেঙ্গলকে দেখা গিয়েছিল, তার ছিটেফোঁটাও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দেখা গেল না। আক্রমণে দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসকে যেন একপ্রকার দিশেহারাই লাগল। পিভি বিষ্ণুকেও সেই ছন্দে দেখা যায়নি।
যদিও ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়। ২৮ মিনিটে হায়দরাবাদের গোলকিপার অর্শদীপ সিং সরাসরি পা তুলে দেন ক্লেইটন সিলভার পেটে। কিন্তু রেফারি রামদাসন কিছুই দিলেন না। এরপর নন্ধকুমার ও ক্লেইটন সিলভার সৌজন্যে ইস্টবেঙ্গল একাধিকবার আক্রমণে উঠলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
View this post on Instagram
অবশেষে ৬৪ মিনিটে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ক্লেইটনের দুরন্ত ফ্রিকিক ক্রসবারে লেগে ফিরলে জিকসন হেড করে গোল করেন। এরপর ৭৬ মিনিটে নন্ধকুমার বাঁ পায়ে জোরালো শট মারলে সেটিকে বাঁচান আর্শদীপ।
কিন্তু হায়দরাবাদও বারবার করে আক্রমণে উঠে গোলের সন্ধানে ছিল, যা মেলে একেবারে ৯০ মিনিটে। প্রতি আক্রমণে এডমিলসন কোরেয়া উঠে এসে বাঁদিকে মনোজ মহম্মদকে বলটি দেন। এরপর ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সাইড ব্যাক ডানদিক বরাবর শট মেরে হায়দরাবাদকে সমতায় ফেরান।
বলাই যায়, প্রাক্তনীর গোলে পচা শামুকে পা কাটল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচটি জিতলে একেবারে ৯ নম্বরে উঠে আসত অস্কার ব্রুজোর দল, কিন্তু নিজামের শহরে আটকে গিয়ে সেই একাদশ স্থানেই থেকে যেতে হল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।