এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আসন্ন মরশুমের জন্য ইতিমধ্যেই শক্তিশালী দল তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল। একাধিক তারকা খেলোয়াড়কে সই করিয়েছে তারা। তবে এরই পাশাপাশি পুরোনো খেলোয়াড়দের ধরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগী লাল-হলুদ ব্রিগেড।
সেই কারণে রক্ষণে জোর দিতে নিজেদের দুই সাইডব্যাক মহম্মদ রাকিপ ও নিশু কুমারকে ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল। দুই বছরের জন্য রাকিপকে ধরে রাখা হয়েছে, অন্যদিকে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে এক বছরের লোনে আসা নিশু কুমারকে পুরোপুরি চুক্তিতে আরও এক বছর ধরে রাখল ইস্টবেঙ্গল।
নিশু ও রাকিপকে রাখা নিয়ে ইমামি গ্রুপের কর্তা বিভাস বর্ধন আগরওয়াল বলেছেন, "রাকিপ ও নিশু দুজনেই আমাদের কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওরা জানে কীভাবে ইস্টবেঙ্গলের মত বড় ক্লাবে খেলার চাপ সামলাতে হয় এবং কোচ কুয়াদ্রাতের অধীনে দ্রুত উন্নতি করছে।"
এদিকে এই দুই ফুটবলারকে রিটেইন করা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেছেন, "রাকিপ ও নিশু দুজনেই গত মরশুমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহুর্তে জ্বলে উঠেছে, বিশেষ করে কলিঙ্গ সুপার কাপে। আমার আসার আগে রাকিপ খুব বেশি গেমটাইম পাচ্ছিল না। যদিও, আমি ওকে যা সুযোগ দিয়েছি সেটির খুব ভালো সদ্ব্যবহার করেছে ও এবং এখন ও খুব ভালো মানের একজন খেলোয়াড়। ওর বয়স এখনও অনেক কম এবং ওকে খেলোয়াড় হিসেবে বেড়ে তোলার জন্য এখনও আমাদের অনেক সুযোগ দিতে হবে এবং রক্ষণ ও আক্রমণে ওর নম্বর বাড়াতে হবে।"
এরপর কুয়াদ্রাত বলেছেন, "বেঙ্গালুরু এফসিতে নিশু যে ফর্ম আমার অধীনে দেখিয়েছিল, যার সৌজন্যে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিল, সেই ফর্মে ফিরে আসছে। ও আমাদের কলিঙ্গ সুপার কাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। নিশু শুধু রক্ষণেই ভালো ছিল না, গোটা মরশুম জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলিতে অ্যাসিস্টও প্রদান করেছে। ওকে আরও এক মরশুম ধরে রাখতে পারাটা খুবই ভালো।"
ইস্টবেঙ্গলে ২ বছরের জন্য চুক্তিবৃদ্ধি করে ২৪ বছর বয়সী রাকিপ বলেছেন, "ইস্টবেঙ্গল আমার সেরাটা বের করেছে। আমি কোচ কার্লেস এবং ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমায় পর্যাপ্ত ম্যাচ টাইম দেওয়ার জন্য। আমি এই ক্লাবকে ভালোবাসি এবং সমর্থকদের খুশি করার চেষ্টা করব।"
এদিকে ২৬ বছর বয়সী সাইডব্যাক নিশু ইস্টবেঙ্গলে আরও এক বছর থাকা নিয়ে বলেছেন, "আমি লাল-হলুদ ব্রিগেডে নিজের সফর জারি রাখতে পেরে খুশি। আমি কোচ কার্লেস এবং ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের কাছে কৃতজ্ঞ আমায় আমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য। আমি সারাজীবন আমাদের সুপার কাপ জয়ের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকব এবং সবরকমভাবে চেষ্টা করব সমর্থকদের খুশি করার জন্য।"