একঝাঁক স্কুল ছাত্র-ছাত্রী লাল হলুদের টানে ইস্টবেঙ্গল মাঠে ভিড় করেছিল। ভবিষ্যতের ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাস

রৌণক ঘোষঃ কোচ অ্যান্ড্রিউজ IWL-এর শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গ্যালারি ভরিয়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের। ভারতসেরা কোচের ডাকে সারা দিয়ে মাঠ ভরিয়েছিলেন সমর্থকেরা। ম্যাচ শুরুর কয়েকঘন্টা আগে থেকেই বিশালাকার ৩ডি টিফোর প্রস্তুতি সারছিলেন ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাসের সমর্থকেরা। ম্যাচ শুরুর প্রথম মিনিট থেকেই ভোকাল ছিলেন তারা। ভোকাল ছিল গোটা ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি।
ছেলেরা যেটা পারেনি সেটাই করে দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। তবে এদিন লাল-হলুদ গ্যালারি নজর কাড়ল আরও একটি বিষয়। জাঁকজমক পূর্ণ ট্রফি সেলিব্রেশন, আল্ট্রাসদের স্মোক-পাইরো শো সবকিছু ছাপিয়ে নজর কাড়লেন কিছু ক্ষুদে স্কুল পড়ুয়া৷
আসলে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন শ পাচেক স্কুল পড়ুয়া। শহরের নামজাদা বেশ কিছু বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল মহিলা দলের খেলা দেখতে৷ তাদের মাঝেই নজর কাড়লেন ৬-৭ জন স্কুল পড়ুয়া৷ গ্যালারির একদম বা দিকের কোণায় ওরা বসেছিল। বলা ভালো পুরো ম্যাচ দাঁড়িয়ে, লাফিয়ে, স্লোগান তুলে, নিজেদের স্কুল টাইকে স্কার্ফের মতো ব্যবহার করে গলা ফাটিয়েছিল ওরা।
কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আল্ট্রাসদের।
বয়সে ছোট হলেও ৯০ মিনিট গ্যালারি মাতিয়ে রাখলো ওরা। ঢাকের আওয়াজ, মাইকের এনাউন্সমেন্ট টপকে ওই ক্ষুদে শিশুদের ইস্টবেঙ্গল ইস্টবেঙ্গল ধ্বনিই ভেসে বেড়াচ্ছিল লাল-হলুদ ক্লাবে। ভবিষ্যতের আল্ট্রাসদের হয়তো পেয়ে গেল লাল হলুদ ব্রিগেড। আর কয়েকবছর পর এই স্কুল পড়ুয়ারাই হয়তো মেগাফোন হাতে চ্যান্ট তুলবেন, টিফো নামাবেন, গ্যালারি ঢেকে দেবেন লাল-হলুদ ধোয়ায়। মাঠ ছাড়ার আগে জানিয়ে গেলেন আবারও আসবেন প্রিয় ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে।