এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আগামী মাসে শুরু হতে চলেছে ডুরান্ড কাপ। এবং এবারে বেশ বড় আকারে আয়োজিত হতে চলেছে এই ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট। আইএসএলের ১১টি দল, আইলিগের পাঁচটি ও সেনাবাহিনীর চারটি দল খেলবে এবারের ডুরান্ডে।
এই ডুরান্ডের মঞ্চে খেলোয়াড় হিসেবে প্রচুর স্মৃতি তৈরি করেছেন দীপেন্দু বিশ্বাস। এবার ফুটবল সচিব হিসেবে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে সাফল্য পেতে মরিয়া দীপেন্দু। ডুরান্ড কাপের মিডিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এবারের ডুরান্ড ও নিজের স্মৃতি নিয়ে নানা কথা বললেন প্রাক্তন এই ফুটবলার।
এবারের ডুরান্ড কাপের ব্যাপ্তি নিয়ে দীপেন্দু বলেছেন, "গত বছরের ডুরান্ড ফাইনাল ছিল আইলিগ ও আইএসএল দলের মধ্যে। যেখানে মহমেডান দুর্দান্ত লড়াই দেখিয়েছিল এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। মহমেডান ম্যাচটি হারে অতিরিক্ত সময়ে গোল খাওয়ার কারণে। যদিও, এবারের ডুরান্ড কাপে, প্রতিটি দলই মাঠে নামবে আরও বেশি প্রস্তুত হয়। তাই এবার বোঝা যাবে কোন দলটি সেরা, আইলিগ না আইএসএল।"
নিজের ডুরান্ড স্মৃতি নিয়ে দীপেন্দু বলেছেন, "১৯৯৫-৯৬ সালে আমি টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির হয়ে ডুরান্ডে অংশগ্রহণ করি। আমি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সেই বছর সেমি ফাইনালে গোল করি। সেই ম্যাচটি আমার ফুটবল জীবনে বড় মোড় এনেছে। সেই ডুরান্ড কাপ থেকে ভারতীয় ফুটবলে আমি প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। সেই কারণে ডুরান্ড আমার কাছে একটি বিশেষ টুর্নামেন্ট।"
খেলোয়াড় ও ম্যানেজার হিসেবে ডুরান্ডে কারা ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ? এর জবাবে দীপেন্দু বলেছেন, "যখন আমি খেলোয়াড় হিসেবে ডুরান্ডে খেলতাম, আমার মনে হয় সব থেকে কঠিন ছিল টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি। আর টিম ম্যানেজার হিসেবে, এফসি গোয়া গত বছরের ফাইনালে খুব কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল।"
কলকাতা ডার্বি দিয়ে ডুরান্ড শুরু হওয়া নিয়ে দীপেন্দু বিশ্বাস জানিয়েছেন, "যেহেতু ডুরান্ড ডার্বি দিয়ে শুরু হচ্ছে, এটি সুবিধা হবে যেখানে ডুরান্ড অনেক বেশি ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে পৌঁছবে। তাই শুরু থেকে, আমার মনে হয় ডুরান্ড নিয়ে অতিরিক্ত আমেজ থাকবে।"
তখনকার আর এখনকার ডুরান্ড কাপের তুলনা নিয়ে দীপেন্দু বলেছেন, "আগে ডুরান্ড কাপ কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকত। আর এই টুর্নামেন্টটি মূলত শীতে আয়োজিত হত। কিন্তু এখন ডুরান্ড কাপ ভারতের সর্বত্র ছড়িয়েছে। তাই বলা যায় এই বছরের ডুরান্ড অনেক বড় হতে চলেছে।"
ডুরান্ড কাপ তরুণ ফুটবলারের উত্তরণের মঞ্চ, এই নিয়ে দীপেন্দুর বার্তা, "এই কারণে ডুরান্ড কাপ তরুণ ফুটবলারদের জন্য একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা। যখন আমরা টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে ছিলাম, আমরা এই প্রতিযোগিতাকে বাছতাম ভারতীয় ফুটবলে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য। আমি, দীপক, মহেশ, রেনেডি আমরা সবাই ডুরান্ড থেকে উঠেছি। আর এখন এই মরশুম এই টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে। তাই তরুণ ফুটবলাররা ডুরান্ডে নিজেদের প্রমাণ করে আইএসএলে নিজেদের জায়গা সুরক্ষিত করতে চাইবে।"
শেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে দীপেন্দু বিশ্বাস বলেছেন, "এই বছরের ডুরান্ড কাপ খুবই আনন্দদায়ক হতে চলেছে। এছাড়াও, তিনটি শহরে ডুরান্ড হওয়ার কারণে, আমার মনে হয় দর্শকের সংখ্যাও প্রচুর হবে। যদিও বেশিরভাগ ম্যাচ কলকাতায় রয়েছে, আমি ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে অনুরোধ করব মাঠে এসে দলগুলিকে উৎসাহ যোগানোর জন্য।"