এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : আনোয়ার আলিকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। দেশের সেরা ডিফেন্ডারকে নিয়ে মোহনবাগান ও দিল্লি এফসির যে লড়াই চলছে, আর সাইডলাইন থেকে যেভাবে ইস্টবেঙ্গল পুরো বিষয়টা দেখছে, এই পরিস্থিতিটিই বর্তমানে ভারতীয় ক্রীড়ার অন্যতম হট টপিক। এমন অবস্থায় গত কয়েক দিন ধরে আনোয়ার আলির গডফাদার হিসেবে বিবেচ্য মিনার্ভা কর্তা রঞ্জিত বাজাজকে নিয়ে একটি অভিযোগ তোলপাড় ফেলেছে ফুটবল মহলে। অভিযোগ, মোহনবাগান আনোয়ারের লোন চুক্তির যে বেতন দিল্লি এফসিকে দিত, তার কিছুটা অর্থ নিজেদের কাছে রেখে বাকিটা আনোয়ারকে দিত।
চার বছরের লোনের চুক্তিতে মোট ১১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় আনোয়ারকে দিল্লি এফসি থেকে এনেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এবং চুক্তি অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিলে দিল্লি এফসিকে ২ কোটি টাকার ট্রান্সফার ফি দিয়েছিল মোহনবাগান। তারই সাথে, ২০২৩-২৪ মরশুমে আনোয়ারকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা করে বেতন হিসেবে দেওয়া হয়েছে মোহনবাগানের তরফ থেকে, যা এসেছিল দিল্লি এফসির অ্যাকাউন্টে।
তবে অভিযোগ এসেছে, দিল্লি এফসি যাদের অধিগ্রহণে, সেই জেব্বোই ফেসিলিটি ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড আনোয়ারের ১৫ লক্ষ টাকার বেতন থেকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা নিজের কাছে রাখত, অর্থাৎ কেবল ১২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন আনোয়ার। ফলে গত মরশুমে মোট ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রাপ্য বেতন পাননি আনোয়ার।
যদিও এই অভিযোগ ভুয়ো ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন দিল্লি এফসি ও জেব্বোই ফেসিলিটির কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ, এবং এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য মানহানির মামলা করারও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
যদিও সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গল যে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছে দিল্লি এফসিকে আনোয়ারকে নেওয়ার জন্য, তা চমকে যাওয়ার মত। যদি প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে আনোয়ারের বিষয়টির সুরাহা হয়ে যায় এবং তিনি ইস্টবেঙ্গলে আসেন, তাহলে ৩ কোটি টাকার ট্রান্সফার ফি ও প্রতি মরশুমে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বেতন দেবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। এখন দেখার, জল কোনদিকে গড়ায়।