এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্ক : ১৬ আগস্ট দিনটিতে আবারও কালিমালিপ্ত হল ভারতীয় ফুটবল। আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ফিফা নিষিদ্ধ করল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে। আর এর জেরে অনুর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপের আয়োজন হাতছাড়া হলই, পাশাপাশি জাতীয় পুরুষ ও মহিলা দলের আন্তর্জাতিক খেলা বন্ধ হল।
কিন্তু কেন এই নিষেধাজ্ঞা? ফিফার সংবিধান অনুযায়ী, কোনও দেশের ফুটবল সংস্থার উপর তৃতীয় পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ থাকবে না। আর এক্ষেত্রে ভারতীয় ফুটবলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত তিন সদস্যের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস। যদিও এই বিষয়ে ফিফার কাউন্সিল ব্যুরোকে জানানো হয়েছিল।
প্রফুল প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিদায়ের পর সুপ্রিম কোর্ট সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অন্তর্বর্তীকালীন কাজকর্ম চালানোর জন্য এবং ফিফার নির্দেশমত নতুন সংবিধান ও নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য এই তিন সদস্যের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে নির্ধারণ করেছিল। এই কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে প্রাক্তন বিচারপতি এআর দাভে, ভারতের প্রাক্তন গোলকিপার ভাস্কর গাঙ্গুলি এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন চিফ কমিশন এসওয়াই কুরেশি।
এখন প্রশ্ন হল, কিভাবে উঠবে এই নিষেধাজ্ঞা? এর উপায়ও জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে দেওয়া চিঠিতে ফিফা জানিয়েছে, প্রথমত, সুপ্রিম কোর্টের এই কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের আদেশ বাতিল করতে হবে। এবং দ্বিতীয়ত, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের দৈনন্দিন কাজের জন্য নতুন প্রশাসনিক কমিটি নিযুক্ত করতে হবে।
কিন্তু নির্বাসন উঠে যাওয়ার পরেও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে তিনটি কাজ করতে হবে।
১. ফিফা ও এএফসির পরামর্শমত সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সংবিধান পুনরায় তৈরি করতে হবে। এবং সেটিকে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সভায় অনুমোদিত করতে হবে।
২. নতুন কার্যসমিতির নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচক কমিটি গঠন করতে হবে, যা অনুমোদিত হবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সভা থেকে।
৩. ফিফা ও এএফসির অনুমোদিত প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচন সারতে হবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে, এবং নির্বাচনগুলি পূর্বের সদস্যভিত্তিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ রাজ্য ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
এই সমস্ত কাজ সারা হলে তবে ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে ফিফার অশনি সংকেত মিটতে পারে।