‘অভিশাপ’ ভেঙে হ্যারি কেনের প্রথম শিরোপা জয়, বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

Photo- X
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে ‘অভিশাপ’ কাটল। হ্যারি কেন তাঁর কেরিয়ারের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন হলেন কেন। রোববার ফ্রাইবুর্গের কাছ থেকে একটু সাহায্য পেয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে জার্মান জায়ান্টরা।
ফ্রাইবুর্গ দ্বিতীয়স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে, যার ফলে বায়ার্ন মিউনিখ লিগের বাকি দুটি ম্যাচ হাতে রেখেই ৮ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
৩১ বছর বয়সী কেন এর আগে বায়ার্ন, টটেনহ্যাম কিংবা ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে একাধিকবার রানার্স-আপ হয়েছেন, ফাইনালে হেরেছেন, ফলে অনেকেই মনে করতেন, তার ওপর যেন এক অভিশাপই রয়েছে।
২০২৩ সালে বায়ার্নের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইনিং হিসেবে যোগ দিলেও প্রথম মরসুমেই দলটি ট্রফিহীন ছিল—যা ছিল ২০১২ সালের পর প্রথম।
গত শনিবার লেইপজিগের বিপক্ষে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে ইউসুফ পলসেনের গোলে ৩-৩ ড্র করে বায়ার্ন, ফলে সেদিন ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশন করা হয়নি। সতীর্থ থমাস মুলার তখন ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন—“পরের সপ্তাহে, হ্যারি!” তবে অপেক্ষা করতে হয়নি এতটা সময়।
লেভারকুসেন যেন আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত থাকায় এবং গোল ব্যবধানে অনেক পেছনে থাকায় তাদের মধ্যে ছিল না তেমন কোনো আত্মবিশ্বাস।
মিউনিখের এক রেস্তোরাঁয় সতীর্থদের সঙ্গে "We are the champions!" গান গেয়ে উদযাপন করেন হ্যারি কেন। জোশুয়া কিমিখের সঙ্গে তিনি ভিজে যান বিয়ার ও শ্যাম্পেইনে, আবার গেয়েছেন বব মার্লের "Three Little Birds"।
এই শিরোপা বায়ার্নের রেকর্ড ৩৪তম জার্মান চ্যাম্পিয়নশিপ—যার প্রথমটি আসে ১৯৩২ সালে। বাকি সব ট্রফি এসেছে বুন্দেসলিগা শুরুর পর (১৯৬৩ সাল থেকে)।
আগামী সপ্তাহে বরুশিয়া মোনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে নিজেদের হোম ম্যাচে বায়ার্ন হাতে পাবে শিরোপা। এটাই হবে ক্লাব কিংবদন্তি থমাস মুলারের শেষ ম্যাচ, যেখানে ২৫ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারের এক আবেগঘন বিদায় অপেক্ষা করছে তার জন্য।
“তিনি একজন কিংবদন্তি হিসেবেই যাচ্ছেন,” মন্তব্য করেছেন জার্মান কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান, যিনি মুলারের ১৩টি বুন্দেসলিগা শিরোপার প্রশংসা করেন।