'আমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো সুতোর টুকরো নেই...': বিরাট কোহলির অবসরে আবেগঘন বার্তা শচীন তেন্ডুলকরের

Photo-X
এক্সট্রা টাইম ওয়েব ডেস্কঃ মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকার টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসরের পর এক আবেগময় বার্তায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন। সোমবার, ৩৬ বছর বয়সী কোহলি নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ১৪ বছরের দীর্ঘ টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার ঘোষণা দেন।
শচীন কোহলির সঙ্গে একটি হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত স্মরণ করেন। তিনি জানান, ১২ বছর আগে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর বিদায়ী টেস্টে এক তরুণ বিরাট কোহলি তাঁকে একটি বিশেষ সুতোর টুকরো উপহার দিতে চেয়েছিলেন — যা কোহলির প্রয়াত পিতার স্মৃতিতে বাঁধা ছিল। কোহলি তখন তাঁর কিশোর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন বলেন, কোহলির এই ব্যক্তিগত উপহার দেওয়ার প্রস্তাব তিনি গ্রহণ না করলেও সেই মুহূর্ত আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। তিনি লেখেন, “তুমি যখন টেস্ট থেকে অবসর নিলে, তখন ১২ বছর আগের সেই মুহূর্তটা মনে পড়ে গেল— আমার শেষ টেস্ট ম্যাচে তুমি তোমার প্রয়াত পিতার স্মৃতিতে বাঁধা একটি সুতোর টুকরো আমাকে দিতে চেয়েছিলে। এটি এতটাই ব্যক্তিগত ছিল যে আমি সেটা গ্রহণ করতে পারিনি, কিন্তু তোমার ওই মানবিক ইঙ্গিতটা চিরকাল আমার মনে থাকবে। যদিও আমি তোমাকে কোনও সুতোর টুকরো ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবুও তুমি আমার অগাধ শ্রদ্ধা ও শুভকামনা নিয়ে এগিয়ে চলো।”
শচীন আরও লেখেন, “বিরাট, তোমার প্রকৃত উত্তরাধিকার সেই লক্ষ লক্ষ তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে, যাদের তুমি অনুপ্রাণিত করেছো। তুমি শুধু রানই করোনি, ভারতীয় ক্রিকেটকে তুমি এক নতুন প্রজন্মের উন্মাদনা ও আবেগ দিয়েছো।”
“তোমার অসাধারণ টেস্ট ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন।” — বার্তা শেষ করেন শচীন।
২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির, আর তিনি অবসর নিলেন ২০২৪–২৫ সালের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পর। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে তিনি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন এবং একমাত্র ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ সাতটি ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড তাঁর দখলে।
ক্যাপ্টেন হিসেবেও বিরাট ছিলেন অনন্য। তিনি ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক, যিনি ৬৮ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ৪০টি জয় অর্জন করেছেন। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২-০ সিরিজ জিতে কোহলি এমএস ধোনির ২৭ টেস্ট জয়ের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যান।